বাক্যের একটি শব্দের
সঙ্গে আরেকটি
শব্দের সম্পর্ক
স্থাপনের জন্য
শব্দগুলোর সঙ্গে কিছু শব্দাংশ যুক্ত
করতে হয়।
এই শব্দাংশগুলোকে
বলা হয়
বিভক্তি।
মা শিশু চাঁদ
দেখা।
উপরের বাক্যটিতে
কোন শব্দের
সঙ্গে বিভক্তি
যুক্ত করা
হয়নি। ফলে
বাক্যের শব্দগুলোর
মধ্যে কোন
সম্পর্ক সৃষ্টি
হয়নি, এবং
এগুলো বাক্যও
হয়ে উঠতে
পারেনি। এখন
শিশু'র
সঙ্গে কে
বিভক্তি আর
দেখা'র
সঙ্গে চ্ছেন'
বিভক্তি যোগ
করলে বাক্যটি
হবে- মা
শিশুকে চাঁদ
দেখাচ্ছেন। অর্থাৎ,
শব্দগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টির
মাধ্যমে একটি
বাক্য সম্পূর্ণ
হলো এবং
এখন আর
এগুলো শব্দ
নয়, এগুলো
প্রত্যেকটি একেকটি পদ। শব্দের সঙ্গে
বিভক্তি যুক্ত
হলে তখন
সেগুলোকে বলা
হয় পদ।
বাক্যে বিভক্তি
ছাড়া কোন
পদ থাকে
না বলে
ধরা হয়।
তাই কোন
শব্দে কোন
বিভক্তি যোগ
করার প্রয়োজন
না হলেও
ধরে নেয়া
হয় তার
সঙ্গে একটি
বিভক্তি যুক্ত
হয়েছে। এবং
এই বিভক্তিটিকে
বলা হয়
শূণ্য বিভক্তি।
উপরের বাক্যটিতে
'মা' ও
'চাঁদ' শব্দদুটির
সঙ্গে কোন
বিভক্তি যোগ
করার প্রয়োজন
হয়নি। তাই
ধরে নিতে
হবে এই
শব্দদুটির সঙ্গে শূণ্য বিভক্তি যোগ
হয়ে এগুলো
বাক্যে ব্যবহৃত
হয়েছে, এবং
এই দুটিও
এখন পদ।
মৌলিক বাংলা
শব্দ বিভক্তিগুলো
হলো- শূণ্য
বিভক্তি (০),
এ, য়,
তে, কে,
রে, র(এর)। তবে এছাড়াও
কিছু কিছু
অব্যয় শব্দ
কারক সম্বন্ধ
নির্ণয়ের জন্য
ব্যবহৃত হয়।
এগুলো হলো-
দ্বারা, দিয়া,
কর্তৃক, হতে,
থেকে, চেয়ে,
ইত্যাদি।
কারক:
কারক শব্দটির
অর্থ যা
ক্রিয়া সম্পাদন
করে। বাক্যস্থিত
ক্রিয়াপদের সংঙ্গ নাম পদের যে
সম্পর্ক, তাকে
কারক বলে।
কারক ছয়
প্রকার। যথা-
কর্তৃকারক, কর্মকারক, করণ কারক, সম্প্রদান
কারক, অপাদান
কারক এবং
অধিকরণ কারক।
বিভক্তি: বাক্যস্থিত একটি
শব্দের সঙ্গে
অন্য শব্দের
অন্বয় সাধনের
জন্য শব্দের
সঙ্গে যে
সকল বর্ণ
যুক্ত হয়
তাদের বিভক্তি
বলে। যেমন-
শিশুটি ছাদে
বসে আছে।
বাক্যটিতে ছাদে (ছাদ + এ বিভক্তি)। বিভক্তি প্রধানত দুই
প্রকার: যথা-
১. নাম
বা শব্দ
বিভক্তি ২.
ক্রিয়া বিভক্তি
বাংলা শব্দ বিভক্তি সাত প্রকার
বিভক্তি
|
একবচন
|
বহুবচন
|
প্রথমা
|
০
|
গণ
|
দ্বিতীয়া
|
কে, রে
|
দিগকে, দিগেরে
|
তৃতীয়া
|
দ্বারা, দিয়া (দিয়ে),
কর্তৃক
|
দিগের দিয়া, দিগকে
দ্বারা, দিগ কর্তৃক
|
চতুর্থী
|
কে, রে
|
দিগকে, দিগেরে
|
৫মী
|
হইতে, থেকে, চেয়ে,
হতে
|
দিগ হইতে, দিগের
চেয়ে
|
ষষ্ঠী
|
র, এর
|
দিগের, দের
|
সপ্তমী
|
তে, এ, য়
|
দিগেতে, দিগে
|
কারক নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি
বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের সম্পর্ককে কারক বলে। অর্থাৎ, বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক, তাকে কারক বলে। কারক ৬ প্রকার- ১. কর্তৃকারক ২. কর্মকারক ৩. করণকারক ৪. সম্প্রদান কারক ৫. অপাদান কারক ৬. অধিকরণ কারক নিচে কারক নির্ণয়ের উপায় সংক্ষেপে ছক আকারে দেয়া হলো-
ক্রিয়াকে প্রশ্ন
|
উত্তর যে কারক
|
কে, কারা?
|
কর্তৃকারক
|
কী, কাকে?
|
কর্মকারক
|
কী দিয়ে?
|
করণকারক
|
কাকে দান করা
হল?
|
সম্প্রদান কারক
|
কি হতে বের
হল?
|
অপাদান কারক
|
কোথায়, কখন, কী
বিষয়ে?
|
অধিকরণ কারক
|
কর্তৃকারক
বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম
পদ ক্রিয়া
সম্পন্ন করে,
তাকে ক্রিয়ার
কর্তা বা
কর্তৃকারক বলে। ক্রিয়াকে 'কে/ কারা'
দিয়ে প্রশ্ন
করলে যে
উত্তর পাওয়া
যায়, সেটিই
কর্তৃকারক। (কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের বাক্যে
এই নিয়ম
খাটবে না।
সেক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে
হবে।) উদাহরণ-
গরু ঘাস
খায়। (কে
খায়): কর্তৃকারকে
শূণ্য বিভক্তি
কর্ম
কারক • যাকে অবলম্বন
করে কর্তা
ক্রিয়া সম্পাদন
করে, তাকে
ক্রিয়ার কর্ম
বা কর্মকারক
বলে। • ক্রিয়াকে
'কী/ কাকে'
দিয়ে প্রশ্ন
করলে যে
উত্তর পাওয়া
যায়, সেটিই
কর্মকারক। • বাক্যে দুইটি কর্ম থাকলে
বস্ত্তবাচক কর্মটিকে প্রধান বা মুখ্য
কর্ম ও
ব্যক্তিবাচক কর্মটিকে গৌণ কর্ম বলে।
তবে দুইটি
একই ধরনের
কর্ম থাকলে
প্রথম কর্মটিকে
উদ্দেশ্য কর্ম
ও দ্বিতীয়টিকে
বিধেয় কর্ম
বলে। যেমন-
'দুধকে মোরা
দুগ্ধ বলি,
হলুদকে বলি
হরিদ্রা'। এখানে 'দুধ'
ও 'হলুদ'
উদ্দেশ্য কর্ম,
'দুগ্ধ' ও
'হরিদ্রা' বিধেয় কর্ম। • কর্তা নিজে
কাজ না
করে কর্মকে
দিয়ে কাজ
করিয়ে নিলে
তাকে প্রযোজক
ক্রিয়ার কর্ম
বলে। • ক্রিয়াপদ
ও কর্মপদ
একই ধাতু
থেকে গঠিত
হলে তাকে
সমধাতুজ কর্ম
বলে। [ক্রিয়াপদ]
উদাহরণ-
#1. বাবা আমাকে
একটি ল্যাপটপ
কিনে দিয়েছেন।
(কাকে দিয়েছেন?
আমাকে। কী
দিয়েছেন? ল্যাপটপ) : আমাকে- কর্মকারকে দ্বিতীয়া
বিভক্তি (গৌণ
কর্ম), ল্যাপটপ-
কর্মকারকে শূণ্য বিভক্তি (মুখ্য কর্ম)
#2. ডাক্তার
ডাক। (কাকে
ডাক?): কর্মকারকে
শূণ্য বিভক্তি
#3. আমাকে
একটা বই
দাও। (কাকে
দাও? আমাকে।
কী দাও?
বই): আমাকে-
কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি (গৌণ কর্ম),
বই- কর্মকারকে
দ্বিতীয়া বিভক্তি (মুখ্য কর্ম)
#4. আমারে
তুমি করিবে
ত্রাণ, এ
নহে মোর
প্রার্থণা। (কাকে করিবে? আমারে): কর্মকারকে
দ্বিতীয়া বিভক্তি
#5. তোমার
দেখা নাই।
(কার দেখা?
তোমার): কর্মকারকে
ষষ্ঠী বিভক্তি
#6. জিজ্ঞাসিবে
জনে জনে।
(কাকে জিজ্ঞাসিবে?
জনে জনে):
কর্মকারকে সপ্তমী বিভক্তি
করণ
কারক • করণ শব্দের
অর্থ যন্ত্র,
সহায়ক বা
উপায়। • যে
উপাদান বা
উপায়ে ক্রিয়া
সম্পাদন করা
হয়, তাকে
করণ কারক
বলে। • ক্রিয়াকে
'কী দিয়ে/
কী উপায়ে'
দিয়ে প্রশ্ন
করলে যে
উত্তর পাওয়া
যায়, তাই
করণ কারক।
উদাহরণ-
#1. পিয়াল কলম দিয়ে লিখছে। (কী
দিয়ে লেখে?
কলম দিয়ে):করণ কারকে
তৃতীয়া বিভক্তি
#2. কীর্তিমান
হয় সাধনায়।
(কী উপায়ে
হয়? সাধনায়):
করণ কারকে
সপ্তমী বিভক্তি
#3. ডাকাতেরা
গৃহকর্তার মাথায় লাঠি মেরেছে। (কী
দিয়ে মেরেছে?
গুলি): করণ
কারকে শূণ্য
বিভক্তি
#4. লাঙ্গল
দিয়ে জমি
চাষ করা
হয়। (কী
দিয়ে চাষ
করা হয়?
লাঙ্গল দিয়ে):
করণ কারকে
তৃতীয়া বিভক্তি
#5. মন দিয়ে পড়াশুনা
কর। (কী
উপায়ে/ দিয়ে
কর? মন
দিয়ে): করণ
কারকে তৃতীয়া
বিভক্তি
#6. ফুলে ফুলে ঘর
ভরেছে। (কী
দিয়ে ভরেছে?
ফুলে ফুলে):
করণ কারকে
সপ্তমী বিভক্তি
#7. শিকারি
বিড়াল গোঁফে
চেনা যায়।
(কী দিয়ে/
উপায়ে চেনা
যায়? গোঁফে):
করণ কারকে
সপ্তমী বিভক্তি
#8. সাধনায়
সব হয়।
(কী উপায়ে
সব হয়?
সাধনায়): করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
#9. এ সুতায় কাপড়
হয় না।
(কী দিয়ে
হয় না?
সুতায়): করণ
কারকে সপ্তমী
বিভক্তি
সম্প্রদান
কারক • যাকে স্বত্ব
ত্যাগ করে
কিছু দেয়া
হয়, তাকে
সম্প্রদান কারক বলে। • 'কাকে দান
করা হল'
প্রশ্নের উত্তরই
হলো সম্প্রদান
কারক। • সম্প্রদান
কারকের নিয়ম
অন্যান্য নিয়মের
মতোই সংস্কৃত
ব্যাকরণ থেকেই
এসেছে। তবে
অনেক বাংলা
ব্যাকরণবিদ/ বৈয়াকরণ একে আলাদা কোন
কারক হিসেবে
স্বীকার করেন
না। তারা
একেও কর্ম
কারক হিসেবেই
গণ্য করেন।
• কর্মকারক ও সম্প্রদান কারকের বৈশিষ্ট্যও
একই। কেবল
স্বত্ব ত্যাগ
করে দান
করার ক্ষেত্রে
কর্মকারক হিসেবে
গণ্য না
করে কর্মপদটিকে
সম্প্রদান কারক হিসেবে গণ্য করা
হয়। • সম্প্রদান
কারকে দ্বিতীয়া
বিভক্তির বদলে
চতুর্থী বিভক্তি
যুক্ত হয়।
চতুর্থী বিভক্তি
আর কোথাও
যুক্ত হয়
না। অর্থাৎ, 'কে/ রে'
বিভক্তি দুটি
সম্প্রদান কারকের সঙ্গে থাকলে তা
চতুর্থী বিভক্তি।
অন্য কোন
কারকের সঙ্গে
থাকলে তা
দ্বিতীয়া বিভক্তি। • তবে কোথাও নিমিত্তার্থে
'কে' বিভক্তি
যুক্ত হলে
তা চতুর্থী
বিভক্তি হয়।
যেমন- বেলা
যে পড়ে
এল, জলকে
চল। (নিমিত্তার্থে
চতুর্থী বিভক্তি)
উদাহরণ-
#1. ভিখারিকে ভিক্ষা দাও। (কাকে দান
করা হল?
ভিখারিকে।): সম্প্রদান কারকে চতুর্থী বিভক্তি
#2. অসহায়কে
খাদ্য দাও।
(কাকে দান
করা হল?
অসহায়কে।): সম্প্রদান কারকে চতুর্থী বিভক্তি
#3. অন্ধজনে
দেহ আলো,
মৃতজনে দেহ
প্রাণ। (কাকে
দান করা
হল? অন্ধজনে।):
সম্প্রদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি
#4. সমিতিতে
চাঁদা দাও।
(কাকে দান
করা হল?
সমিতিতে।): সম্প্রদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি
অপাদান
কারক • যা থেকে
কোন কিছু
গৃহীত, বিচ্যুত,
জাত, বিরত,
আরম্ভ, দূরীভূত,
রক্ষিত, ভীত
হয়, তাকে
অপাদান কারক
বলে। • অর্থাৎ, অপাদান কারক
থেকে কোন
কিছু বের
হওয়া বোঝায়।
• 'কি হতে
বের হল'
প্রশ্নের উত্তরই
অপাদান কারক।
উদাহরণ-
#1. গাছ থেকে
পাতা পড়ে।
(কি হতে
বের হল/
পড়ল? গাছ
থেকে): অপাদান
কারকে পঞ্চমী
বিভক্তি
#2. শুক্তি
থেকে মুক্তি
মেলে। (কি
হতে বের
হল? শুক্তি
থেকে): অপাদান
কারকে পঞ্চমী
বিভক্তি
#3. জমি থেকে ফসল
পাই। (কি
হতে বের
হল? জমি
থেকে): অপাদান
কারকে পঞ্চমী
বিভক্তি
#4. দেশ থেকে হায়েনারা
চলে গেছে।
(কি হতে
বের হল?
দেশ থেকে):
অপাদান কারকে
পঞ্চমী বিভক্তি
#5. বিপদ থেকে বাঁচাও।
(কি হতে
বাঁচাও? বিপদ
হতে): অপাদান
কারকে পঞ্চমী
বিভক্তি
#6. বাঘকে
ভয় পায়
না কে?
(কি হতে
ভয় বের
হল? বাঘ
হতে): অপাদান
কারকে দ্বিতীয়া
বিভক্তি
#7. মনে পড়ে সেই
জৈষ্ঠ্যের দুপুরে পাঠশালা পলায়ন। (কি
হতে বের
হল/ পলায়ন?
পাঠশালা হতে):
অপাদান কারকে
শূণ্য বিভক্তি
#8. বাবাকে
বড্ড ভয়
পাই। (কি
হতে ভয়
বের হয়?
বাবা হতে):
অপাদান কারকে
দ্বিতীয়া বিভক্তি
#9. তিনি চট্টগ্রাম থেকে
এসেছেন। (কি
হতে বের
হয়েছেন/ এসেছেন?
চট্টগ্রাম হতে): অপাদান কারকে পঞ্চমী
বিভক্তি
#10. বিমান
থেকে বোমা
ফেলা হয়েছিলো।
(কি হতে
বের হল/
ফেলা হল?
বিমান হতে):
অপাদান কারকে
পঞ্চমী বিভক্তি
অপাদান
কারকের বিস্তারিত প্রচলিত বাংলা ব্যাকরণের কারক-এর একটি
শ্রেণি। বাংলা
ব্যাকরণে অপাদান
কারক এসেছে
পাণিনি'র
অষ্টাধ্যায়ী অনুসরণে। পাণিনির মতে- 'ধ্রুবমপায়েহপাদানাম্।
অপায়ে যদুদার্সীনং
চলং বা
যদি বাচলম্।
ধ্রুবমেবাতদাবেশাৎ তদপাদানমুচ্যতে॥'
বিদ্যাসাগর
এর সংজ্ঞা
দিয়েছেন- 'যাহা হইতে বিশ্লেষ হয়,
তাহাকে অপাদান
কারক বলে।
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁর 'ভাষা-প্রকাশ
বাঙ্গালা-ব্যাকরণ
' গ্রন্থে এই কারকের সংজ্ঞা দিয়েছেন-
'যাহা হইতে
কোনও বস্তু
বা ব্যক্তি
উৎপন্ন,
চলিত, নির্গত,
নিঃসৃত, উত্থিত,
পতিত, প্রেরিত,
গৃহীত, দৃষ্ট,
শ্রুত, সূচিত,
নিবারিত, অন্তর্হিত,
রক্ষিত ইত্যাদি
হয়- তাহাকে
অপাদান-কারক
বলে।'
সুনীতি চট্টোপাধ্যায়ের সংজ্ঞাটিই বাংলা ব্যাকরণে প্রমিত
সংজ্ঞা হিসাবে
বিবেচনা করা
হয়। এই
কারক নির্ণয়ের
সূত্র হলো-
বাক্যানুসারে 'কি থেকে' বা 'কিসের
থেকে' প্রশ্ন
সাপক্ষে যদি
উত্তর পাওয়া
যায়, তবে
তা অপাদান
কারক হিসাবে
বিবেচিত হবে।
ছাদ থেকে
পানি পড়ছে।
পুকুর থেকে
ফিরে এলাম।
ইত্যাদি।
এই কারকের জন্য
সাধারণত হইতে>হতে, থেকে,
চাহিয়া>চেয়ে বিভক্তি হিসাবে বিবেচনা
করা হয়।
ব্যাকরণ এগুলোকে
কারক-বিভক্তির
তালিকায় পঞ্চমী
বিভক্তি বলা
হয়। এই
বিভক্তিগুলো শব্দের সাথে যুক্ত অবস্থায়
ব্যবহৃত হয়।
তাই এগুলোর
মান দাঁড়ায়
অনুসর্গের মতো। যেমন- ছাদ থেকে
পানি পড়ছে।
পুকুর থেকে
ফিরে এলাম।
ইত্যাদি।
পঞ্চমী বিভক্তি ছাড়াও
অপাদান কারক
হতে পারে।
যেমন- ১.
এ বিভক্তি
: লোকমুখে এ কথা জেনেছি। ২.
তে বিভক্তি
: খনিতে সোনা
পাওয়া যায়।
৩. র/এর : রাতে
বাঘের ভয়ে
ঘরের বাহির
হই না।
সম্বন্ধ
পদ ও অপাদানের সম্পর্ক
অনেক ক্ষেত্রেই
অনুসর্গের পূর্বপদের সাথে একটি সম্পর্ক
সৃষ্টি হয়।
এ ক্ষেত্রে
পূর্ব পদে
ষষ্ঠী বিভক্তি
যুক্ত হলেও
কারক বিভক্তি
হিসাবে এই
ষষ্ঠী বিভক্তি
মূল্য পায়
না। এক্ষেত্রে
ষষ্ঠী বিভক্তি
কতকগুলো বিশেষ
রীতি অনুসরণ
করে।
#তুলনা-বাচক ভাবের
ক্ষেত্রে পূর্ব
পদে র
বা এর
বসে। যেমন-
রামের চেয়ে
শ্যাম ছোটো।
#সর্বনামের
পরে চেয়ে,
থেকে, হতে
অনুসর্গ থাকলে,
সর্বনামের পরে ষষ্ঠী বিভক্তি বসে।যেমন-
আমার থেকে
সে বেশি
জানে না।
তার চেয়ে
শ্যাম ভালো
লোক। তোমার
চেয়ে এ
কাজ আর
কে ভালো
করবে?
#কিন্তু যখন কোনো
কিছু প্রাপ্তি
বা অপ্রাপ্তি
(ভয়, আশা,
বিশ্বাস ইত্যাদি
অর্থে) বিষয়টি
এর সাথে
যুক্ত হয়,
তখন অতিরিক্ত
অনুসর্গ যুক্ত
হতে পারে।
যেমন- তার
কাছ থেকে
১০০ টাকা
পেয়েছি। তোমার
কাছ থেকে
এটা আশা
করি নি।
#তবে এই অতিরিক্ত
অনুসর্গ বাদ
দিয়েও বাক্য
হতে পারে।
যেমন- তার
থেকে ১০০
টাকা পেয়েছি।
#বিশেষ্য পদের 'র'
বা 'এর'
ব্যবহৃত হয়।
তবে বাহুল্য
বিবেচনায় অনেক সময় তা বর্জিত
হয়। যেমন-
তুমি দেশের
থেকে কবে
ফিরলে? কিম্বা
তুমি দেশ
থেকে কবে
ফিরলে?
অপাদান ও অধিকরণের সম্পর্ক
অধিকাংশ ক্ষেত্রে
অপাদান কারকের
সাথে অধিকরণের
একটি নিবিড়
সম্পর্ক লক্ষ্য
করা যায়।
যেমন- ১.
স্থানবাচক অপাদান : ঢাকা থেকে বাড়ি
ফিরলাম। ['ঢাকা' স্থান, কিন্তু কারকের
বিচারে 'ঢাকা
থেকে' অপাদান]
২. কাল
বাচক অপাদন
: সকাল থেকে
বৃষ্টি হচ্ছে।
['সকাল' কাল
বা সময়,
কিন্তু কারকের
বিচারে 'সকাল
থেকে' অপাদান]
৩. আধার
বাচক অপাদান
: তিল থেকে
তেল হয়।
['তিল' আধার
বা পাত্র,
কিন্তু কারকের
বিচারে 'তিল
থেকে' অপাদান]
এছাড়া তারতম্যের বিচারে
অপাদান হয়।
যেমন- আমার
চেয়ে সে
চালাক।
অধিকরণ
কারক • ক্রিয়া সম্পাদনের
কাল এবং
আধারকে (সময়
এবং স্থানকে)
অধিকরণ কারক
বলে। • ক্রিয়াকে
'কোথায়/ কখন/
কী বিষয়ে'
দিয়ে প্রশ্ন
করলে যে
উত্তর পাওয়া
যায়, তাই
অধিকরণ কারক।
উদাহরণ-
#1. পুকুরে মাছ আছে। (কোথায় আছে?
পুকুরে): অধিকরণ
কারকে সপ্তমী
বিভক্তি
#2. বনে বাঘ আছে।
(কোথায় আছে?
বনে): অধিকরণ
কারকে সপ্তমী
বিভক্তি
#3. ঘাটে নৌকা বাঁধা
আছে। (কোথায়
বাঁধা আছে?
ঘাটে): অধিকরণ
কারকে সপ্তমী
বিভক্তি
#4. রাজার
দুয়ারে হাতি
বাঁধা। (কোথায়
বাঁধা? দুয়ারে):
অধিকরণ কারকে
সপ্তমী বিভক্তি
#5. সকালে
সূর্য ওঠে।
(কখন ওঠে?
সকালে): অধিকরণ
কারকে সপ্তমী
বিভক্তি
#6. এ বাড়িতে কেউ
নেই। (কোথায়
কেউ নেই?
বাড়িতে): অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
#7. নদীতে
পানি আছে।
(কোথায় আছে?
নদীতে): অধিকরণ
কারকে সপ্তমী
বিভক্তি
#8. রবিন অঙ্কে কাঁচা।
(কী বিষয়ে
কাঁচা? অঙ্কে):
অধিকরণ কারকে
সপ্তমী বিভক্তি
#9. সজিব ব্যাকরণে ভাল।
(কী বিষয়ে
কাঁচা? ব্যাকরণে):
অধিকরণ কারকে
সপ্তমী বিভক্তি
#10. ঘরের
মধ্যে কে
রে? (কোথায়?
ঘরে): অধিকরণ
কারকে অনুসর্গ
মধ্যে
#11. বাড়ি
থেকে নদী
দেখা যায়।
(কোথায় থেকে
দেখা যায়?
বাড়ি থেকে):
অধিকরণে পঞ্চমী
বিভক্তি*
শেষ উদাহরণটিতে নদী
বাড়ি থেকে
বের হয়নি,
তাই এটি
অপাদান কারক
নয়। নদী
বাড়ি থেকেই
দেখা যায়।
অর্থাৎ,
ক্রিয়াটি বাড়িতেই ঘটছে, তাই এটি
অধিকরণ কারক।
অপাদান-অধিকরণ কারকের পার্থক্য অপাদান ও অধিকরণ কারক
আলাদা করতে
গিয়ে অনেকেরই
সমস্যা হয়।
অপাদান ও
অধিকরণ কারককে
আলাদা করে
চেনার সহজ
উপায় হলো,
অপাদান কারক
থেকে কোন
কিছু বের
হয় বোঝায়।
আর অধিকরণ
কারকের মাঝেই
ক্রিয়া সম্পাদিত
হয়। যেমন-
'তিলে থেকে
তেল হয়'
আর 'তিলে
তেল আছে'। প্রথম বাক্যে তিলের
ভেতর ক্রিয়া
সংঘটিত হয়নি।
বরং তিল
থেকে তেল
বের হওয়ার
কথা বোঝাচ্ছে।
আর দ্বিতীয়
বাক্যে তিলের
ভেতরই তিল
থাকার কথা
বলছে। এই
'আছে' ক্রিয়াটি
তিলের ভেতরে
থেকেই কাজ
করছে। এরকম-
1. বিপদ থেকে
বাঁচাও- অপাদান
কারক 2. বিপদে
বাঁচাও- অধিকরণ
কারক 3. শুক্তি
থেকে মুক্তি
মেলে- অপাদান
কারক 4. শুক্তিতে
মুক্তি হয়-
অধিকরণ কারক
5. জমি থেকে
ফসল পাই-
অপাদান কারক
6. জমিতে ফসল
হয়- অধিকরণ
কারক বিভিন্ন ধরনের কারক ও বিভক্তির উদাহরণ
ইহা করিমের বিবেচ্য
নহে
|
কর্তায় ৬ষ্ঠী
|
সূর্য উঠিলে রাত্রির
অন্ধকার দূর হয়
|
কর্তায় শূন্য
|
দারা নামে পারশ্যের
এক রাজা
ছিলেন
|
কর্তায় শূন্য
|
করিমের না গেলে
নয়
|
কর্তায় ৬ষ্ঠী
|
সর্বাঙ্গ দংশিল মোর
নাগ-নাগবালা
|
কর্তায় শূন্য
|
ফুলদল দিয়া কাটিলা
কি বিধাতা
শাল্মালী তরুবরে?
|
কর্মে ৭মী
|
বিহগে ললিত গীতি
শিখায়েছে ভালবাসি
|
কর্মে ৭মী
|
আমার ভাত খাওয়া
হইল না
|
কর্মে শূন্য
|
সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ
দিব কোথা
?
|
কর্মে শূন্য
|
শিশুগণ দেয় মন
নিজ নিজ
পাঠে
|
কর্মে শূন্য;অধিকরণে
৭মী
|
রাক্ষসে বধিবে ভীম
তোমার প্রসাদে
|
কর্মে ৭মী করণে
৭মী
|
গৃহহীনে গৃহ, দিলে
আমি থাকি
ঘরে
|
কর্মে ৭মী
|
মীরা বাগানে ফুল
তুলিতেছে
|
কর্মে শূন্য
|
বইখানা ধরো
|
কর্মে শূন্য
|
পাহাড় নড়ায় সাধ্য
কার ?
|
কর্মে শূন্য
|
আমি কখনও ঢাকা
দেখি নাই
|
কর্মে শূন্য
|
তোমায় দেখলেও পাপ
|
কর্মে ৭মী
|
সোনা গলাইয়া গহনা
করা হয়
|
কর্মে শূন্য
|
গীর্জায় গিয়া যীশু
ভজে সে
|
কর্মে শূন্য
|
মা শিশুকে চাঁদ
দেখাইল
|
কর্মে শূন্য
|
কি সাহসে এমন
কথা করিতেছে
|
কর্মে ৭মী
|
সে সম্পত্তি নষ্ট
করিয়াছে
|
কর্মে শূন্য
|
তাহার দেখা পাওয়া
দুষ্কর
|
কর্মে ৬ষ্ঠী
|
অর্থ অনর্থ ঘটায়
|
কর্মে শূন্য
|
চোরাবাজারী দমন করিবে
কে
|
কর্মে শূন্য
|
জিজ্ঞাসিব জনে জনে
|
কর্মে ৭মী
|
কেন বঞ্চিত হব
ভোজনে
|
কর্মে ৭মী
|
ডাক্তারকে ডাক
|
কর্মে ২য়া
|
তুমি কি চাও
|
কর্মে শূন্য
|
ধৈর্য ধর, বাঁধ
বুক
|
কর্মে শূন্য
|
কোথা সে ছায়া
সখি কোথা
সে জল
|
কর্মে শূন্য
|
চোর ধৃত হইয়াছে
|
কর্মে শূন্য
|
চাহিনা করিতে বাদ-প্রতিবাদ
|
কর্মে শূন্য
|
সে তিনদিন পথ
চলিল
|
কর্মে শূন্য
|
সারারাত জাগিয়া কাটাইয়াছি
|
কর্মে শূন্য
|
ডাক্তার ডাকো
|
কর্মে শূন্য
|
রাখাল গরু চরায়
|
কর্মে শূন্য
|
বৃথা গঞ্জ দশাননে
|
কর্মে ৭মী
|
সে তুর্কি নাচন
নাচিল
|
কর্মে শূন্য
|
সমিতিতে চাঁদা দাও
|
সম্প্রদানে ৭মী, কর্মে
শূন্য
|
সে খুব ঠকান
ঠকাইয়াছে
|
কর্মে শূন্য
|
মশা মেরে হাত
কালো করো
না
|
কর্মে শূন্য
|
আমি কখনো গঙ্গা
দেখি নাই
|
কর্মে শূন্য
|
এমন চোরের মত
বাঁচা বাঁচিতে
চাইনা
|
কর্মে শূন্য
|
এ বয়সে ঢের
দেখা দেখেছি
|
কর্মে শূন্য
|
ওই ফুলটি তুলিও
না
|
কর্মে শূন্য
|
এমন অদ্ভুত জন্তু
কেহ কখনও
দেখে নাই
|
কর্মে শূন্য
|
যাদুকর একটি আলুকে
ডিম বানাইল
|
কর্মে ২য়া, কর্মে
শূন্য
|
তাহার এক সপ্তাহ
জ্বর হইয়াছে
|
কর্মে শূন্য
|
পাপীকে ধিক
|
কর্মে ২য়া
|
আমি তোমা বিনা
আর কাহাকেও
জানি না
|
কর্মে শূন্য
|
এমন মেয়ে তো
দেখি নাই
|
কর্মে শূন্য
|
বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ
করো
|
কর্মে শূন্য
|
সে বছর ফাঁকা
পেনু কিছু
টাকা
|
কর্মে শূন্য
|
গুরুজনে কর নতি
|
কর্মে ৭মী
|
তাস খেলে পড়া
নষ্ট করো
না
|
করণে শূন্য,কর্মে
শূন্য
|
আমার সোনার ধানে
গিয়াছে ভরি
|
করণে ৭মী
|
তাস খেলে পড়া
নষ্ট কত
ছেলে করে
|
করণে শূন্য,কর্মে
শূন্য
|
তিরিশ বছর ভিজায়ে
রেখেছি দুই
নয়নের জলে
|
ব্যাপ্তার্থেশূন্য;করণে ৭মী
|
আমরা কানে শুনি
|
করণে ৭মী
|
আলোয় আঁধার কাটিয়া
যায়
|
করণে ৭মী
|
সোজা পথে চলো
না কেন
?
|
করণে ৭মী
|
টাকায় বাঘের দুধ
মিলে
|
করণে ৭মী
|
ব্যায়ামে শরীর ভাল
থাকে
|
করণে ৭মী
|
শিকারী বিড়াল গোঁফে
চিনা যায়
|
করণে ৭মী
|
কালির দাগ সহজে
উঠে না
|
করণে ৬ষ্ঠী
|
নৌকাতে নদী পার
হওয়া যায়
|
করণে ৭মী
|
শরতে ধরাতল শিশিরে
ঝলমল
|
করণে ৭মী
|
নূতন ধান্যে হবে
নবান্ন
|
করণে ৭মী
|
ইট-পাথরের বাড়ি
বড় শক্ত
|
করণে ৬ষ্ঠ
|
এ কাজ আপনি
নিজ হাতে
করুন
|
করণে ৭মী
|
প্রাণপণে চেষ্টা কর
|
করণে ৭মী
|
এ কলমে ভাল
লেখা হয়
না
|
করণে ৭মী
|
হাতে না মারিয়া
ভাতে মারিব
|
করণে ৭মী
|
কলমের খোঁচা দিও
না
|
করণে ৬ষ্ঠী
|
জ্যোৎস্নাতে আলোকিত এই
রাত্রি
|
করণে ৭মী
|
সে চাকর দ্বারা
রান্না করায়
|
করণে ৩য়া
|
হাতের তৈয়ারী জিনিস
আমার প্রিয়
|
করণে ৬ষ্ঠী
|
তাহারা পাশা খেলিতেছে
|
করণে শূন্য
|
জ্ঞানে বিমল আনন্দ
লাভ হয়
|
করণে ৭মী
|
বিপদে সে উতলা
হইয়াছে
|
করণে ৭মী
|
পুত্র হতে পিতৃসুখ
আর হবে
না
|
করণে ৫মী
|
জাহাজে সাগর পার
হওয়া যায়
|
করণে ৭মী
|
হট্টমালার দেশে, তারা
গাই-বলদে
চষে
|
করণে ৭মী
|
শিক্ষক ছেলেটিকে বেত
মারিলেন
|
করণে শূন্য
|
লাঠির আঘাতে মাথা
ভাঙ্গিয়া দিল
|
করণে ৭মী
|
অন্ধজনে দেহ আলো
|
সম্প্রদানে ৭মী
|
বাষ্পে কল চালানো
হয়
|
করণে ৭মী
|
সময়ে সবই হয়
|
করণে ৭মী
|
তোমার মহিমা যেন
জ্বলন্ত অক্ষরে লেখা
|
করণে ৭মী
|
আকাশ মেঘে ঢাকা
|
করণে ৭মী
|
তোমার দুঃখে শিয়াল
কুকুর কাঁদিবে
|
করণে ৭মী
|
ব্যাপারটি তিন দিনে
মিটিয়া গেল
|
করণে ৭মী
|
দুই দন্ডে চলে
যায় দু'দিনের পথ
|
করণে ৭মী
|
দুঃখের বেশে এসেছ
বলে তোমারে
নাহি ডরিব
হে
|
করণে ৭মী
|
ব্যবহারেই ইতর-ভদ্র
চেনা যায়
|
করণে ৭মী
|
সে চোখে-মুখে
কথা বলে
|
করণে ৭মী
|
মাংস আগুনে সিদ্ধ
কর
|
করণে ৭মী
|
সে কানে শোনে
না
|
করণে ৭মী
|
সে পীড়ায় দুর্বল
হয়ে পড়েছে
|
করণে ৭মী
|
পাখিকে তীর মারো
|
করণে শূন্য
|
মদে তাহার সর্বনাশ
হইয়াছে
|
করণে ৭মী
|
শ্রম বিনা ধনলাভ
হয় না
|
করণে শূন্য
|
উদ্যম বিহনে কার
পুরে মনোরথ
|
করণে শূন্য
|
আগুনে সেক দাও
|
করণে ৭মী
|
জটাতে তাপস চিনি
|
করণে ৭মী
|
ধর্মের কল বাতাসে
নড়ে
|
করণে ৭মী
|
একদা প্রভাতে ভানুর
'প্রভাতে' ফুটিলে কমলগুলি
|
করণে ৭মী
|
এ যে লেজে
খেলায়
|
করণে ৭মী
|
সর্বশিষ্যে জ্ঞান দেন
গুরুমহাশয়
|
সম্প্রদানে৭মী
|
না মরে পাষাণ
বাপ দিলা
হেন বরে
|
সম্প্রদানে ৭মী
|
প্রিয়জনের যাহা দিতে
পাই, তাই
দিই দেবতারে
|
সম্প্রদানে ৭মী; সম্প্রদানে
৪র্থী
|
তোমায় কেন দেইনি
আমার সকল
শূন্য করে
|
সম্প্রদানে ৭মী
|
অন্ধজনে দয়া কর
|
সম্প্রদানে ৭মী
|
সকল কর্মফল ভগবানে
অর্পণ কর
|
সম্প্রদানে ৭মী
|
সৎপাত্রে কন্যাদান করিও
|
সম্প্রদানে ৭মী
|
সৈন্যদল যুদ্ধে যাইতেছে
|
সম্প্রদানে ৭মী
|
দরিদ্র ধনীকে ঈর্ষা
করে
|
সম্প্রদানে ৪র্থী
|
পূজিয়ে দেবতাগণে
|
সম্প্রদানে ৭মী
|
তারা তীর্থে যাত্রা
করল
|
সম্প্রদানে ৭মী
|
মৃতজনে দেহ প্রাণ
|
সম্প্রদানে ৭মী
|
আমায় একখানা বস্ত্র
দাও
|
সম্প্রদানে ৭মী
|
চিররোগী কি আশায়
বাঁচে
|
সম্প্রদানে ৭মী
|
গত বিষয়ের জন্য
শোক করিও
না
|
সম্প্রদানে ৬ষ্ঠী
|
সুখের লাগিয়া এ
ঘর বাঁধিনু
|
সম্প্রদানে ৬ষ্ঠী
|
শুধু বৈকুন্ঠের তরে
নহে বৈষ্ণবের
গান
|
সম্প্রদানে ৬ষ্ঠী
|
পরীক্ষা আসিলে তাই
চোখে জল
ঝরে
|
অপাদানে ৭মী
|
বিপদে মোরে রক্ষা
করো
|
অপাদানে ৭মী
|
তোমার চেয়ে বড়
বন্ধু আমার
নাই
|
অপাদানে ৫মী
|
চোরের মুখ দিয়ে
রক্ত পড়ছে
|
অপাদানে ৩য়া
|
সরিষা হইতে তৈল
হয়
|
অপাদানে ৫মী
|
তিলে তৈল হয়
|
অপাদানে ৭মী
|
ধর্ম হইতে বিচলিত
হইও না
|
অপাদানে ৫মী
|
জলে বাষ্প হয়
|
অপাদানে ৭মী
|
লোভে পাপ, পাপে
মৃত্যু
|
অপাদানে ৭মী করণে
৭মী
|
হামিদ ওদের বাড়ি
খেয়ে এসেছে
|
অপাদানে শূন্য
|
লোকমুখে শুনা যায়
|
অপাদানে ৭মী
|
মেঘে বৃষ্টি হয়
|
অপাদানে ৭মী
|
চোরের ভয়ে ঘুম
আসে না
|
অপাদানে ৬ষ্ঠী
|
সুখের চেয়ে শান্তি
ভাল
|
অপাদানে ৫মী
|
সর্বভূতে ধন দাও
|
সম্প্রদানে ৭মী
|
প্রভাতে উঠিল রবি
লোহিত বরণ
|
অধিকরণে ৭মী
|
আমাদের ছাদে পানি
পড়ে
|
অপাদানে ৭মী
|
পরের মুখে শেখা
বুলি
|
অপাদানে ৭মী
|
দুধে ছানা হয়
|
অপাদানে ৭মী
|
বড় দুঃখে আপনার
শরণ লইয়াছি
|
অপাদানে ৭মী
|
উর্মি কখন ঢাকা
ছাড়ে
|
অপাদানে শূন্য
|
সাগরে মুক্তা মিলে
|
অপাদানে ৭মী
|
বাঘের ভয়ে রাতে
ঘর থেকে
বের হওয়া
যায় না
|
অপাদানে ৬ষ্ঠী
|
এ মেঘে বৃষ্টি
হয় না
|
অপাদানে ৭মী
|
আমার বাড়ি থেকে
আজানের ধ্বনি
শোনা যায়
|
অপাদানে ৫মী
|
মীনার চেয়ে নীলা
বড়
|
অপাদানে ৫মী
|
পড়ায় বিরত হয়ো
না
|
অপাদানে ৭মী
|
এই গ্রামে সাপের
ভয় দেখা
দিয়াছে
|
অপাদানে ৬ষ্ঠী
|
পাপে বিরত হও
|
অপাদানে ৭মী
|
পাপী পশুর অধম
|
অপাদানে ৬ষ্ঠী
|
পাপ হইতে পূণ্য
পৃথক
|
অপাদানে ৫মী
|
আমি কি ডরাই
কভু ভিখারী
রাঘবে
|
অপাদানে ৭মী
|
কত ধানে কত
চাল, সে
আমি জানি
|
অপাদানে ৭মী
|
সারা দুপুর দোকান
পালিয়ে কোথা
ছিলি
|
অপাদানে শূন্য
|
সব ঝিনুকে মুক্তা
মিলেনা
|
অপাদানে ৭মী
|
যেখানে বাঘের ভয়,
সেখানে সন্ধ্যা
হয়
|
অপাদানে ৬ষ্ঠী
|
কাননে কুসুমকলি সকলি
ফুটিল
|
অধিকরণে ৭মী
|
দেবতার ধন কে
যায় ফিরায়ে
লয়ে এই
বেলা শোন
|
সম্বন্ধে ৬ষ্ঠী; অধিকরণে
শূন্য
|
অঙ্গে আঁচল সুনীল
বরণ, রুনুঝুনু
রবে-
|
অধিকরণে ৭মী কর্তায়
শূন্য
|
সন্ন্যাসী গায়ে লাগিতে
চরণ থামিল
|
অধিকরণে ৭মী, কর্তায়
শূন্য
|
পাতায় পাতায় পড়ে
নিশির শিশির
|
অধিকরণে ৭মী
|
করিলাম মন শ্রীবৃন্দাবন
বারেক আসিব
ঘুরি
|
অধিকরণে শূন্য; অপাদানে
শূন্য
|
এ বৎসর
ভাল ফসল
জন্মিয়াছে
|
অধিকরণে শূন্য
|
ছেলেরা ছাদ থেকে
ঘুড়ি উড়াচেছ
|
অধিকরণে ৫মী
|
বইখানি ঘরেই ছিল
|
অধিকরণে ৭মী
|
সমুদ্রে লবণ আছে
|
অধিকরণে ৭মী
|
সরোবরে পদ্ম জন্মে
|
অধিকরণে ৭মী
|
একদিন পাপের ফল
ফলিবে
|
অধিকরণে শূন্য
|
প্রাসাদ হইতে তাহাকে
ডাকিলাম
|
অধিকরণে ৫মী
|
আমি শনিবার ঢাকা
যাবো
|
অধিকরণে শূন্য
|
রাতে তারা দেখা
যায়
|
অধিকরণে ৭মী
|
বসন্তে নানা রকমের
ফুল ফোটে
|
অধিকরণে ৭মী
|
সে বাড়ি নাই
|
অধিকরণে শূন্য
|
তুমি কি ময়মনসিংহ
যাইবে
|
অধিকরণে শূন্য
|
গুন্ডারা পথিকের মাথায়
লাঠি মারিয়াছে
|
অধিকরণে ৭মী
|
একা যাব বর্ধমান
করিয়া যতন
|
অধিকরণে শূন্য
|
শুক্রবার স্কুল বন্ধ
থাকে
|
অধিকরণে শূন্য
|
আজকে আমার যাওয়া
হবে না
|
অধিকরণে ২য়া
|
জাহাজ হইতে দেখিলাম
|
অধিকরণে ৫মী
|
লঙি এ সিন্ধুর
প্রলয়ের নৃত্যে
|
অধিকরণে ৬ষ্ঠী, কর্মে
৭মী
|
নদীতে এখন জোয়ার
আসিবে
|
অধিকরণে ৭মী
|
কলসীটা কানায় কানায়
ভরিয়া গিয়াছে
|
অধিকরণে ৭মী
|
এ বৎসর
বড়ই বিপদ
|
অধিকরণে শূন্য
|
ঘরকে যাও
|
অধিকরণে ২য়া
|
বইটি ঘরেই আছে
|
অধিকরণে ৭মী
|
জলে কুমির, ডাঙায়
বাঘ
|
অধিকরণে শূন্য
|
তিন রাত তার
ঘুম হয়নি
|
অধিকরণে শূন্য
|
সূযোর্দয়ে অন্ধকার দূর
হইল
|
অধিকরণে ৭মী
|
এ সময় তার
দেখা মেলা
ভার
|
অধিকরণে শূন্য
|
ভোর সূর্য ওঠে
|
অধিকরণে ৭মী
|
আজ হবে না
কাল এসো
|
অধিকরণে শূন্য
|
রবিবার স্কুল বন্ধ
থাকে না
|
অধিকরণে শূন্য
|
বাড়ি যাও
|
অধিকরণে শূন্য
|
একদিন যাবো
|
অধিকরণে শূন্য
|
দরজায় হাতি বাঁধা
আছে
|
অধিকরণে ৭মী
|
বাদুড় দিনে ঘুমায়
|
অধিকরণে শূন্য
|
ছায়ায় বস
|
অধিকরণে ৭মী
|
প্রাতঃকালে ভ্রমণ করিবে
|
অধিকরণে ৭মী
|
ফলে না সকল
বৃক্ষে সমধুর
ফল
|
অধিকরণে ৭মী
|
অতিবড় বৃদ্ধ পতি
সিদ্ধিতে নিপুণ
|
অধিকরণে ৭মী
|
বিদ্যালাভে যত্ন কর
|
অধিকরণে ৭মী
|
ঘরেতে ভ্রমর এল
গুনুগুনিয়ে
|
অধিকরণে ৭মী
|
ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর
মতে প্রাচীন
যুগের পরিধি
কত সাল
পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল?
|
৬৫০-১২০০ সাল
পর্যন্ত।
|
বাংলা ভাষার উৎপত্তি কোন শতাব্দীতে?
|
সপ্তম শতাব্দী।
|
মধ্য যুগের বাংলা
ভাষার পরিধি
কত সাল
পর্যন্ত বিসতৃত ছিল?
|
১২০১-১৮০০ সাল
পর্যন্তু।
|
আধুনিক বাংলা ভাষার
পরিধি কত
সাল থেকে
শুরু হয়েছে?
|
১৮০১ সাল থেকে।
|
বাংলা গদ্যের ব্যাপক
ব্যবহার শুরু হয় কখন থেকে?
|
আধুনিক যুগে।
|
ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর
মতে খ্রীষ্টপূর্ব
কত পূর্ব
পর্যন্ত বাংলা ভাষার অস্তিত্ব ছিল?
|
পাঁচ হাজার বছর।
|
আর্য ভারতীয় গোষ্ঠীর
প্রাচীনতম সাহিত্যেক ভাষার নাম কি?
|
বৈদিক ও সংস্কৃত
ভাষা।
|
বাংলা ভাষার মূল
উৎস
কোন ভাষা?
|
বৈদিক ভাষা।
|
বৈদিক ভাষা থেকে
বাংলা ভাষা
পর্যন্ত বিবর্তনের প্রধান তিনটি ধারা
কি কি?
|
ক. প্রচীন ভারতীয়
আর্য, খ)
মধ্য ভারতীয়
আর্য ভাষা
গ) নব্য
ভারতীয় আর্য
ভাষা।
|
কোন ভাষা বৈদিক
ভাষা নামে
স্বীকৃত?
|
আর্যগণ যে ভাষায়
বেদ-সংহিতা
রচনা করেছেন
সেই ভাষাই
বৈদিক ভাষা।
|
কোন ব্যাকরণবিদের কাছে
সংস্কৃত ভাষা চূড়ান্তভাবে বিধিবদ্ধ হয়?
|
ব্যাকরণবিদ পানিনির হাতে।
|
সংস্কৃত ভাষা কত
অব্দে চূড়ান্তভাবে
বিধিবদ্ধ হয়?
|
খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ দিকে।
|
কোন ভাষাকে প্রাকৃত
ভাষা বলে?
|
খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ শতাব্দীর
দিকে বৈদিক
ভাষা বির্বতনকালীণ
সময়ে দেশের
প্রকৃতি পঞ্জ বা জনসাধারনের যে
ভাষায় নিত্য
নতুন কথা
বলত তাকে
প্রাকৃত ভাষা বলে।
|
প্রাকৃত ভাষা বিবর্তিত
হয়ে শেষ
যে স্তরে
উপনীত হয়
তার নাম
কি?
|
অপভ্রংশ।
|
পানিনি রচিত গ্রন্থের
নাম কি?
|
ব্যাকরণ অষ্টাধয়ী।
|
পানিণি কোন ভাষার
ব্যাকরণকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করেন?
|
সংস্কৃত ভাষা।
|
বাংলা ভাষার মূল
উৎস
কোনটি?
|
বৈদিক।
|
বাংলা ভাষার আদি
সাহিত্যিক নিদর্শন কি?
|
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য।
|
বাংলা ভাষা কোন
আদি বা
মূল ভাষা
গোষ্ঠীর অর্ন্তগত?
|
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা
গোষ্ঠী।
|
বাংলা ভাষার উদ্ভব
ঘটে কোন
দশকে?
|
খ্রিষ্টিয় দশম শতকের
কাছাকাছি সময়ে।
|
ভারতীয় আর্য ভাষার
প্রাচীন রূপ কোথায় পাওয়া যায়?
|
প্রাচীন গ্রন্থ ঋগ্বেদের
মন্ত্রগুলোতে।
|
কোন ভাষা থেকে
বাংলা ভাষার
উৎপত্তি?
|
মাগধী প্রাকৃত।
|
প্রাচীন ভারতীয় আর্য
ভাষার স্তর
কয়টি?
|
তিনটি।
|
বৈদিক ভাষা হতে
বাংলা ভাষায়
বিবর্তনের প্রধান ধারা কয়টি?
|
তিনটি।
|
বাংলা ভাষা কোন
গোষ্ঠীর বংশধর?
|
হিন্দ-ইউরোপী গোষ্ঠীর।
|
বাংলা ভাষার সঙ্গে
মিল খুঁজে
পাওয়া যায়
কোন ভাষার?
|
মুন্ডা ভাষার।
|
কোন লিপি থেকে
বাংলা লিপির
উদ্ভব ঘটেছে?
|
ব্রহ্মী লিপি।
|
ভারতীয় লিপিমালার প্রাচীনতম
রূপ কয়টি
ও কি
কি?
|
দুইটি ক. খরোষ্ঠী,
খ. বাহ্মী।
|
ভারতের মৌলিক লিপি
কোন লিপিকে
বলা বলে?
|
ব্রাহ্মী লিপি।
|
ব্রাহ্মী লিপির পূর্ববর্তী
লিপি কোনটি?
|
খরোষ্ঠী লিপি।
|
ভারতীয় লিপিশালার প্রাচীনতম
রূপ কোনটি?
|
দুইটি।
|
খ্রিষ্টপূর্ব ৩য় শতকে
কোন শাসকের
শাসনমালা ব্রাহ্মী লিপিতে উৎকীর্ন
পাওয়া যায়?
|
সম্রাট অশোক।
|
বাংলা লিপি ও
বর্ণমালার উদ্ভব হয়েছে কোন লিপি
থেকে?
|
কুটিল লিপি।
|
ব্রাহ্মী লিপির পূর্ববর্তী
লিপি কোনটি
?
|
খরোষ্ঠী লিপি।
|
কোন যুগে বাংলা
লিপি ও
অক্ষরের গঠনকার্য শুরু হয় ?
|
সেন যুগে।
|
কোন যুগে বাংলা
লিপির গঠনকার্য
স্থায়ীরূপ লাভ করে?
|
প্রাচীন যুগে।
|
বাংলার প্রথম মুদ্রন
প্রতিষ্ঠানের নাম কি ?
|
শ্রীরামপুর মিশন।
|
কত সালে 'শ্রীরামপুর
মিশন' প্রতিষ্ঠিত
হয় ?
|
১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে।
|
বাংলা ছাড়া ব্রাহ্মী
লিপি থেকে
আর কোন
লিপির উদ্ভদ
ঘটেছে ?
|
সিংহলী, শ্যামী, নবদ্বীপি,
তিব্বতী ইত্যাদি।
|
বাংলা অক্ষর বা
বর্ণমালা কোন সময়ে একচ্ছত্র প্রভাব
বিস্তার লাভ করে ?
|
খ্রিঃ দশম একাদশ
শতাব্দীর মধ্যে বাংলা অক্ষর বাংলায়
একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার করে।
|
ব্রাহ্মী লিপির বিবর্তনের
ধারায় কোন
বর্নমালা থেকে বাংলা বর্নমালার উৎপত্তি ?
|
পূর্ব ভারতীয় বর্ণমালা
কুটিল থেকে
বাংলা বর্ণমালা
উৎপত্তি।
|
কোন কোন লিপির
উপর বাংলা
লিপির প্রভাব
বিদ্যমান ?
|
উড়িষ্যা মৈথিলি ও
আসামী লিপির
উপর।
|
বাংলা গদ্যের বিকাশে
বলিষ্ঠ ভূমিকা
পালন করে-?
|
সাময়ীক পত্র।
|
বাংলা সাহিত্যের প্রথম
নিদর্শন কি?
|
চর্যাপদ।
|
চর্যাপদ রচনা করেন
কারা ?
|
বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ।
|
চর্যাপদ কোন যুগের
নিদর্শন?
|
আদি/ প্রাচীন যুগ।
|
চর্যাপদের পুঁথিকে কোথা
কে এবং
কখন আবিস্কার
করেন?
|
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
১৯০৭।
|
চর্যাপদের রচনা কাল
কত?
|
সপ্তম -দ্বাদশ শতাব্দী।
|
চর্যাপদ কোন ভাষায়
রচিত হয়?
|
বঙ্গকামরুপী ভাষায়।
|
চর্যাপদ কোথায় পাওয়া
যায়?
|
নেপালের রাজ দরবারের
গ্রন্থাগারে।
|
টীকাকার মুনিদত্তের মতানুসারে
চর্যাপদের নাম কি ?
|
আশ্চর্য চর্যাচয়।
|
নেপালে প্রাপ্ত পুঁথিতে
পদগুলির কি নাম দেযা হয়েছে
?
|
চর্যাচর্য বিনিশ্চয়।
|
চর্যাপদের ভাষাকে কে
বাংলা ভাষা
দাবি করেছেন?
|
অধ্যাপক সুনীতি কুমার
চট্টোপাধ্যয়।
|
চর্যার প্রাপ্ত পুঁথিতে
কোন কোন
সংখ্যক পদে
সম্পূর্ন পাওয়া যায় নি ?
|
২৪, ২৫, ৪৮
সংখ্যক পদ।
|
চর্যার প্রাপ্ত কোন
পদটির শেষাংশে
পাওয়া যায়
নি ?
|
২৩ সংখ্যক পদ।
|
চর্যাগীতিকা হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
কর্তৃক কবে
প্রকাশিত হয়েছিল ?
|
১৯১৬ সালে।
|
চর্যা সংগ্রহটিতে সর্বসমেত
কয়টি চর্যাগীতি
ছিল?
|
৫১ টি।
|
সর্বসমেত কয়টি চর্যাগীতি
পাওয়া গিয়েছে?
|
সাড়ে ছেচল্লিশটি।
|
সবচেয়ে বেশী পদ
কে রচনা
করেছেন ?
|
কাহ্নপা-১৩ টি।
|
চর্যাপদের রচয়িতা কে
বা কারা
?
|
কাহ্নপা, লুইপা, কুক্কুরীপা,
ভুসুকু, সরহপাদ সহ মোট ২৪
জন পদকর্তা।
|
চর্যাপদ কোন সময়ে
রচিত হয়
?
|
সপ্তম থেকে দ্বাদশ
শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে।
|
চর্যাপদের পদগুলো কোন
কোন ভাষায়
রচিত বলে
দাবি করা
হয়?
|
চর্যাপদের পদগুলো বাংলা,
হিন্দী, মৈথিলী, অসমীয় ও উড়িয়া
ভাষায়।
|
চর্যাপদের তিব্বতী অনুবাদ
কে আবিস্কার
করেন?
|
ডঃ প্রবোধচন্দ্র বাগচী।
|
চর্যাপদের ভাষায় কোন
অঞ্চলের নমুনা পরিলক্ষিত হয়?
|
পশ্চিম বাংলার প্রাচীনতম
কথ্য ভাষার।
|
ডঃ সুনীতি কুমার
চট্টোপাধ্যয় কবে চর্যাপদে ভাষা বাংলা
বলে প্রমান
করেন?
|
১৯২৬ সালে।
|
চর্যাপদ কোন ছন্দে
রচিত ?
|
মাত্রাবৃত্তে ছন্দে।
|
চর্যাপদের পুঁথি নেপালে
যাবার কারন
কি?
|
তুর্কী আক্রমনকারীদের ভয়ে পন্ডিতগণ তাদের পুুথি
নিয়ে নেপালে
পালিয়ে গিয়ে
শরনার্থী হয়েছিলেন।
|
কীর্তিলতা পুরুষ পরীক্ষা
বিভাগসার প্রভৃতি সাহিত্যকর্মের রচয়িতা কে?
|
মিথিলার কবি বিদ্যাপতি।
|
রাজা লক্ষন সেনের
রাজসভার পঞ্চরত্ন কে কে ছিলেন?
|
উমাপতিধর, শরণ, ধোয়ী,
গোবর্ধন আচার্য ও জয়দেব।
|
গীত গোবিন্দ কাব্যগ্রন্থের
রচয়িতার নাম কি ?
|
জয়দেব।
|
ব্রজবুলী ভাষার উদ্ভব
কখন হয়?
|
কবি বিদ্যাপতি যখন
মৈথিল ভাষায়
রাধাকৃষ্ণ লীলার গীতসমূহ রচনা করেন।
|
ব্রজবুলি ভাষা কোন
জাতীয় ভাষা?
|
মৈথলী এবং বাংলা
ভাষার মিশ্রনে
সৃষ্টি হয়।
|
ব্রজবুলি কোন স্থানের
উপভাষা ?
|
মিথিলার উপভাষা্।
|
ব্রজবুলি ভাষার বিখ্যাত
সাহিত্যিকের/শ্রেষ্ঠ কবি নাম কি?
|
বিদ্যাপতি এবং জয়দেব।
|
চন্ডীদাস সমস্যা কি?
|
বাংলা সাহিত্য একাধিক
পদকর্তা নিজেকে চন্ডীদাস পরিচয় দিয়ে
যে সমস্যা
সৃষ্টি করেছেন
তাই চন্ডীদাস
সমস্যা ।
|
বাংলা সাহিত্যে স্বীকৃত
চন্ডীদাস কয়জন?
|
তিনজন। বড়ু চণ্ডীদাস,
দীন চণ্ডীদাস,
এবং দ্বীজ
চণ্ডীদাস।
|
প্রাচীন সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকগণ
চর্যাপদ কোন প্রতিষ্ঠানের
পৃষ্ঠপোষকতায় পুনরুদ্ধার করা হয়েছে?
|
বঙ্গীয় সাহিত্যে পরিষদ।
|
মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের
পৃষ্ঠপোষকতায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে?
|
পাঠান সুলতানগণ।
|
মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যে
কোন ধর্ম
প্রচারকের প্রভাব অপরিসীম?
|
শ্রী চৈতন্যদেব।
|
কার অনুপ্রেরণায় মহাভারতের
অশ্বমেধ পর্ব অনুদিত হয়?
|
নাসিরউদ্দিন নসরৎ
শাহের।
|
কার রাজত্বকালে বাংলার
লৌকিক কাহিনী
মনসামঙ্গল রচিত হয়?
|
হুসেন শাহের।
|
চৈতন্য ভাগবত কার
সময় রচিত
হয়?
|
গিয়াসুদ্দীন মাহমুদ শাহের।
|
কার পৃষ্ঠপোষকতায় কৃত্তিবাস রামায়ণের অনুবাদ করেন?
|
জালালুদ্দিন মুহম্মদ শাহের।
|
কবি বিদ্যাপতি ও
শেখ কবির
কার আদেশে
বৈঞ্চবপদ কাব্য রচনা করেন?
|
নাসির উদ্দিন নসরৎ শাহের।
|
কবি বিজয়গুপ্ত কার
আদেশে মনসামঙ্গল
কাব্য রচনা
করেন?
|
আলাউদ্দিন হুসেন শাহের।
|
বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতার
জন্য বিখ্যাত
শাসক?
|
আলাউদ্দিন হুসেন শাহ।
|
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের
পৃষ্ঠপোষকতায় শাহ মুহম্মদ সগীর কোন
কাব্যটি রচনা করেন?
|
ইউসূফ- জুলেখা।
|
নসীয়তনামা কাব্য কার
পৃষ্ঠপোষকতায় রচিত?
|
শ্রীসুধর্মের।
|
কার আদেশে সয়ফুল-মূলক রচিত
হয়?
|
সৈয়দ মুসার আদেশে।
|
কার আদেশে আলাওল
সতীময়না কাব্য রচনা করেন?
|
লস্কর উজীর আশরাফ
খানের।
|
কবি জৈনুদ্দিন কার
সভাকবি ছিলেন?
|
গৌড়ের সুলতান ইউসুফ
শাহেব।
|
রসুল বিজয় কাব্য
কার অনুপ্রেরণায়
রচিত হয়?
|
শামসুদ্দীন ইউসূফ শাহের।
|
মহা বংশাবলী নামক
সামাজিক ইতিহাস গ্রন্থের পৃষ্ঠপোষক কে?
|
সুলতান জালালউদ্দিন ফতেহ-ই-শাহ।
|
বাংলায় সর্বপ্রথম বিদ্যাসাগর
কাহিনী কার
আমলে রচিত
হয়?
|
হুসেন শাহের আমলে।
|
কার পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতচন্দ্র বিদ্যাসুন্দর
রচনা করেন?
|
রাজা কৃষ্ণ চন্দ্র্রের।
|
কোন কবি গিয়াস
উদ্দীন আযম
শাহের রাজা
কর্মচারী ছিলেন?
|
শাহ মুহম্মদ সগীর।
|
কবি মালাধর বসুর
পৃষ্ঠপোষক কে ছিলেন?
|
শামসউদ্দিন ইউসুফ শাহ।
|
রাজা লক্ষন সেনের
সভাকবি কে
ছিলেন?
|
ভারতচন্দ্র ।
|
হোসেন শাহের পৃষ্ঠপোষকতায়
কে কাব্য
চর্চা করেন?
|
রূপ গোস্বামী।
|
কবীন্দ্র পরমেশ্বর কার
আদেশে বাংলায়
মহাভারত রচনা করেন?
|
পরাগল খানের।
|
ছুটি খানের সভাকবি
কে ছিলেন?
|
শ্রীকর নন্দী।
|
আলাওল পদ্মাবতী রচনা
করেন?
|
মাগন ঠাকুরের অনুরোধে।
|
কবি হাফিজকে বাংলাদেশে
আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কোন নৃপতি?
|
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ।
|
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন সাহিত্য ধারা
বাংলা সাহিত্যের প্রধান
প্রধান সাহিত্য
ধারা কি
কি?
|
উঃ গীতিকবিতা, মহাকাব্য,
উপন্যাস, গল্প, নাটক, প্রহসন, প্রবন্ধ,
অভিসন্দর্ভ, সমালোচনা, পত্র সাহিত্য, জীবনী
সাহিত্য ইত্যাদি।
|
মধ্যযুগের অন্যতম সাহিত্য
ধারা কি
কি ?
|
উঃ বৈঞ্চব পদাবলী,
জীবনী সাহিত্য,
মঙ্গল কাব্য,
কবিগান, পুঁথি সাহিত্য, অনুবাদ সাহিত্য,
মর্সিয়া সাহিত্য ইত্যাদি।
|
আধুনিক যুগের সাহিত্য
ধারা কি
কি ?
|
উঃ মহাকাব্য, গীতিকাব্য,
উপন্যাস,নাটক, ছোটগল্প, প্রহসন,প্রবন্ধ,
নিবন্ধ, অভিসন্দর্ভ, সমালোচনা, আত্মজীবনীমূলক সাহিত্য, পত্র সাহিত্য, গীতিনাট্য
ইত্যাদি।
|
অন্ধকার
যুগঃ (১২০১-১৩৫০ খ্রী.)
অন্ধকার যুগ
এমন একটি
যুগ যে
যুগে বাংলা
সাহিত্যের কোনও নিদর্শন পাওয়া যায়নি
অন্ধকার যুগ
সৃষ্টি করার
জন্য দায়ী
করা হয়
তুর্কি সেনাপতি
ইখতিয়ার উদ্দিন
বিন মোহাম্মদ
বখতিয়ার খিলজীকে।
তিনি ১২০১
সালে মতান্তরে
১২০৪ সালে
হিন্দু সর্বশেষ
রাজা লক্ষণ
সেন কে
পরাজিত করে
এ অঞ্চলে
মুসলিম শাসন
প্রতিষ্ঠা করে। অন্ধকার যুগে বাংলা
সাহিত্যের কোনও নিদর্শন না মেললেও
সংস্কৃত সাহিত্যের
নিদর্শন মেলে।
যেমনঃ ১/
রামাই পন্ডিতের
"শূণ্যপুরাণ" ২/ হলায়ূধ
মিশ্রের "সেক শুভোদয়া"
মধ্যযুগের
বেশ কিছু কাব্যঃ ১. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য ২. বৈষ্ণপদাবলী ৩.
মঙ্গলকাব্য ৪. রোমান্টিক কাব্য ৫.
আরাকান রাজসভায়
বাংলা সাহিত্য
৬. পুঁথি
সাহিত্য ৭.
অনুবাদ সাহিত্য
৮. জীবনী
সাহিত্য ৯.
লোকসাহিত্য ১০. মর্সিয়া সাহিত্য ১১.
করিয়ালা ও
শায়ের ১২.
ডাক ও
খনার বচন
১৩. নথিসাহিত্য
মধ্যযুগে অন্য সাহিত্যের
কিছু নমুনা
পাওয়া যায়ঃ
১. পত্র
২. দলিল
দস্তাবেজ, ৩. আইন গ্রন্থের অনুবাদ
তবে এগুলো
সাহিত্যের মানে উত্তীর্ণ হতে পারে
নি।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তনকাব্যঃ
• বাংলাসাহিত্যের মধ্যযুগে প্রবেশ
করলে প্রথম
কাব্য শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
• বাংলা সাহিত্যের
২য় গ্রন্থ
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন • কোনো একক
কবির রচনা
হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
বাংলা সাহিত্যের
প্রথম কাব্য।
• শ্রীকৃষ্ণকীর্তনকাব্য রচনা করেছেন
একজন কবি
যার নাম
বড়ুনচন্ডীদাস ।
পক্ষান্তরে চর্যাপদের পদকর্তা ২৪ জন
রচনাকালঃ চতুর্দশ শতাব্দীর
শেষ দিকে
পনের শতাব্দীর
শুরুতে রচিত
হয় বিষয়বস্তুঃ
এ কাব্যে
মোট ১৩টি
খন্ড রয়েছে।
এ কাব্যে
প্রথম থেকে
শেষ পর্যন্ত
রাঁধা-কৃষ্ণ
এর প্রেমলীলা
বর্ণনা করা
হয়েছে।
প্রেক্ষাপটঃ
এ কাব্যটি
রচনার ৫০০
বছর পর
আবিষ্কার করা
হয়। বর্তমানে
কাব্যটির বয়স
৬০০ বছর।
১৯০৯ সালে
বসন্ত রঞ্জন
রায় যার
উপাধী বিদ্বদ্ববল্লভ।
তিনি ভারতের
পশ্চিমবঙ্গের বাকুড়া জেলারকোকিলা গ্রামে এক
গৃহস্থলীর গোয়াল ঘরের টিনের চালের
নীচ থেকে
আবিস্কার করেন।
১৯১৬ সালে
কলকাতা বঙ্গীয়
সাহিত্য পরিষদ
থেকে প্রকাশিত
হয় শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ
যা পরে
নামপরিবর্তন করে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনকাব্য
রাখা হয়।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
কাব্যের প্রধান চরিত্রঃ ১.রাঁধা ২.কৃষ্ণ ৩.বড়াই
১. রাঁধাঃ এ
কাব্যে রাঁধা
কেন্দ্রীয় নারী তথা নায়িকা চরিত্রে
ঘোষ পরিবারে
জন্ম। অপূর্ব
সুন্দরীরাঁধার বিয়ে হয় বীরপুরুষ আয়েন
ঘোষ / আইহেন
ঘোষ এর
সাথে। আয়েন
ঘোষের গৃহে
রাঁধারদেখাশুনার দায়িত্বভার পরে তার পিসিমা
বড়াই এর
উপর। পৌরাণিক
কাহিনী মতে
রাঁধামানবাত্নার প্রতীক। এ কাব্যে রাঁধা
রক্তমাংসে গড়া এক নারী যার
মনে প্রেম
আছে আবার
দৈহিককামনা বাসনা চরিতার্থ করার আকাংখাও
আছে।
২. কৃষ্ণঃ এ
কাব্যের কেন্দ্রীয়
পুরুষ চরিত্র।
তার প্রধান
গুণ বাঁশীবাদক
/ বংশীবাদক। তার প্রধানপরিচয় রাঁধার প্রেমিক
রূপে। রাঁধা
সম্পর্কে কৃষ্ণের
প্রতিবেশী মামী ছিলেন। পৌরাণিককাহিনীমতে কৃষ্ণ হচ্ছে ভগবান / স্রষ্টা
/ পরমাত্না। কিন্তু এ কাব্যে রক্তমাংসে
গড়া এক
যুবক।
৩. বড়াইঃ বড়াই
এ কাব্যের
৩য় চরিত্র। রাঁধা কৃষ্ণের প্রেম
সম্পর্ক সৃষ্টিতে
বড়াই এর
ভূমিকাসবচেয়ে বেশী। এজন বড়াইকে রাঁধা-কৃষ্ণের প্রেমের
দূতী বলা
হয়।
কবির পরিচয়ঃ এ
কাব্যের কবি
হলেন বড়ুন
চন্ডীদাস। এট তার ছদ্মনাম বা
উপাধি। তার
প্রকৃত নাম
অনন্ত বড়ুয়া
/ অনন্ত বড়ু
/ অনন্ত বড়াই।
তিনি যাত্রাপালা
/ নাট্যপালার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন সেকারণে
নাটকীয় ভঙ্গিতে
তিনি এই
কাব্যরচনা করেন।
বড়ুচন্ডীদাসঃ
• 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের রচয়িতা
বড়ুচণ্ডীদাস। যদিও তাঁর আত্মপরিচয় বা
জীবনকথা জাতীয়কিছু
পাওয়া যায়
না বলে
তাঁর প্রকৃত
পরিচয় কিছুটা
ধোঁয়াশাচ্ছন্ন। • কাব্যে তাঁর
তিনটি ভণিতা
পাওয়া যায়
- 'বড়ুচণ্ডীদাস', 'চণ্ডীদাস' ও
'আনন্ত বড়ুচণ্ডীদাস'। এর মধ্যে 'বড়ুচণ্ডীদাস'
ভণিতা মিলেছে
২৯৮টি স্থানে
ও 'চণ্ডীদাস'
ভণিতা মিলেছে
১০৭ বার।৭টি
পদে ব্যবহৃত
'আনন্ত' শব্দটিপ্রক্ষিপ্ত
বলেই মনে
করা হয়।
• ডঃ মিহির
চৌধুরী কামিল্যা
মনে করেন,
চণ্ডীদাস তাঁর
নাম এবং
বড়ুপ্রকৃতপক্ষে তাঁর কৌলিক উপাধি বাঁড়ুজ্যে
বা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
অপভ্রংশ। • কবি চৈতন্য পূর্ববর্তীকালের মানুষ। • সম্ভবত পঞ্চদশ শতাব্দীর
প্রথম দিকে
তিনি জীবিত
ছিলেন। বাংলাসাহিত্যে
চণ্ডীদাস সমস্যা
এবং পদাবলির
চণ্ডীদাসকে নিয়ে বাঁকুড়া ও বীরভূমের
মধ্যে যতবিবাদই
বিদ্যমান থাকুক
না কেন,
ডঃ মিহির
চৌধুরী কামিল্যা
ভাষাতাত্ত্বিক তথ্যপ্রমাণের সাহায্যেপ্রমাণ
করেছেন, 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'
রচয়িতা বড়ুচণ্ডীদাস
বাঁকুড়া জেলার
সদর মহকুমাস্থ
ছাতনার অধিবাসী
ছিলেন। • বড়ুচণ্ডীদাস
বাসলী দেবীর
উপাসক ছিলেন।
এই বাসলী
দেবী প্রকৃতপক্ষেশক্তিদেবী
মনসার অপর
নাম।
বৈষ্ণপদাবলীঃ
• বাংলা সাহিত্যের
মধ্যযুগে একজন
মহামানবের আগমন ঘটে তার নাম
শ্রীচৈতন্যদেব। তারপ্রচারিত ধর্মের নাম বৈষ্ণব
ধর্ম। তার
জীবন ও
তার প্রচারিত
ধর্ম মধ্যযুগের
একশ্রেণী পদাবলীসাহিত্য
রচিত হয়
যার নাম
বৈষ্ণপদাবলী হিসেবে পরিচিত। বৈষ্ণপদাবলী কে
কড়চা নামেও
বলাহয়ে থাকে।
• বৈষ্ণপদাবলীর আদি কবি - চন্ডীদাস • তার
বিখ্যাত বাণী
- সবার উপরে
মানুষ সত্য
তাহার উপরে
নাই • বৈষ্ণপদাবলীর
আরেক কবি
জ্ঞানদাস
বিদ্যাপতীঃ
পদাবলী সাহিত্যের
শ্রেষ্ঠ কবি।
তিনি কিন্তু
বাঙ্গালী ছিলেন
না। আবার
বাংলায় কোনও
পদ রচনাকরেননি।
তার অধিকাংশ
রচনা সংস্কৃত
ও ব্রজবুলি
ভাষায় তাকে
মিথিলার কোকিল
/ মৈথিলীকোকিল বলা হয়ে থাকে। তাকে
কন্ঠহার নামেও
ডাকা হয়।
ব্রজবুলীঃ
• এটি একটি
ভাষার নাম।
এর আক্ষরিক
অর্থ ব্রজ
অঞ্চলের বুলি
/ কথা / ভাষা।
• ব্রজবুলী হচ্ছে একপ্রকার কৃত্রিম মিশ্র
ভাষা / কাব্যিক
ভাষা। • এটি
কখনই জনসাধারণের
মুখের ভাষা
ছিলনা। তবে
রাঁধা কৃষ্ণ
এই ভাষায়
প্রেমালাপ করতেন
বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগে
কোনও প্রকার
পদ রচনা
না করেও
পদাবলী সাহিত্যে
/ মধ্যযুগে /বাংলাসাহিত্যে অমর হয়ে আছেন
শ্রীচৈতন্যদেব। তার জীবনকে নিয়েই যুগের
সৃষ্টি হয়েছে
১. শ্রীচৈতন্যদেব
পূর্ব যুগ
(১৪০১-১৫০০)
২. শ্রীচৈতন্যদেব
যুগ (১৫০১-১৬০০) ৩.
শ্রীচৈতন্যদেব পরবর্তী যুগ (১৬০১-১৭০০)
মঙ্গলকাব্যঃ
• মঙ্গল অর্থ
শুভ বা
কল্যাণ। • মধ্যযুগে হিন্দু ধর্মাবল্বী দিবদেবী
নির্ভর এক
আখ্যান(কাহিনী)
কাব্য রচনাকরেন
যা মঙ্গল
কাব্য নামে
পরিচিত। • মঙ্গলকাব্যের রচনাকাল পঞ্চদশ শতাব্দী
থেকে অষ্টাদশ
শতাব্দীপর্যন্ত( প্রায় চারশত বছর)। মঙ্গলকাব্যের নামকরণ
হবার কারণ
২টি। • এক
মঙ্গলবার পাঠ
শুরু করে
আর এক
মঙ্গল বার
শেষ করা
হতো • মঙ্গল
কাব্য পাঠ
করলে বা
শ্রবণ করলে
বা ঘরে
রাখলে সকল
মঙ্গল সাধিত
হত।
মঙ্গলকাব্যের
শাখা তিনটি।
যথা: ১.
মনসামঙ্গল ২. চন্ডীমঙ্গল ৩. ধর্মমঙ্গল।
তিনটি শাখার
আদি কবি
যথাক্রমে ১.
মনসা মঙ্গল
- কানা হরি
দত্ত। ২.
চন্ডীমঙ্গল - আদি কবি- মানিক দত্ত
(চর্তুদশ শতক),
প্রধান কবি-
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী। উপাধি- "কবি কঙ্কণ"
৩. ধর্মমঙ্গল
- ময়ুর ভট্ট।
অন্নদা মঙ্গল কাব্যের
প্রধান কবি
ভারত চন্দ্র
রায় গুণাকর।
মনসা মঙ্গল
কাব্যের অপর
নাম-পদ্মপূরাণ(১৪৯৮ খ্রীঃ)। মনসা মঙ্গল কাব্যের
কয়েকজন কবির
নাম হল-
নারায়ণ দেব,
বিজয়গুপ্ত, বিপ্রদাসপিপিলাই, দ্বিজবংশীদাস।বিপ্রদাস
পিপিলাই রচিত
মনসামঙ্গল কাব্যের নাম "মনসা বিজয়"। মধ্যযুগেরসবচাইতে প্রতিবাদী চরিত্র
মনসা মঙ্গল
কাব্যের চাঁদ
সওদাগর। মনসামঙ্গল
কাব্যের ২২
জন ছোট-বড়কবিকে একত্রে
বাইশা বলা
হয়। মঙ্গল
ধারার তথা
মধ্যযুগের শেষ কবি ভারতচন্দ্র রায়
গুণাকর। ভারতচন্দ্রকে
"গুণাকর" উপাধি দেন
নবদ্বীপ বা
নদীয়ার রাজা
কৃষ্ণচন্দ্র। "চৈতন্যমঙ্গল" ও " গোবিন্দ মঙ্গল"কাব্য
দুটির শেষে
মঙ্গল থাকলেও
এগুলো মঙ্গল
কাব্য নয়
এগুলো বৈষ্ণব
সাহিত্যের অংশ। একটি স্বার্থকমঙ্গল কাব্যের
বৈশিষ্ট্য ৫ টি।
মঙ্গল
কাব্য বিস্তারিত • যেকোন মঙ্গল কাব্যের ৫টি
অংশ থাকবে।
যথা- ১.
বন্দনা ২.
আত্নপরিচয় ও গ্রন্থ উৎপত্তির
কারণ ৩.
দেবখন্ড ৪.
মর্তখন্ড ৫.
ফলশ্রুতি। • মঙ্গল কাব্যের উল্লেখযোগ্য শাখা
এবং ধারাগুলো
হলো- মনসামঙ্গল
কাব্য, চন্ডীমঙ্গল
কাব্য, অন্নদামঙ্গল
কাব্য, ধর্মমঙ্গল
কাব্য এবং
কালিকামঙ্গল কাব্য।
মনসামঙ্গল কাব্য • সাপের অধিষ্ঠাত্রী দেবী
'মনসা দেবীর'
কাহিনী নিয়ে
রচিত হয়
মনসামঙ্গল কাব্য। • মনসামঙ্গল কাব্যের আদি
কবি কানা
হরিদত্ত। মনসামঙ্গল
কাব্যের শ্রেষ্ঠ
কবি হলেন
বিজয় গুপ্ত।
• মনসামঙ্গল কাব্যের উল্লেখযোগ্য চরিত্র হলো-
চাদ সIদাগর, বেহুল
এবং লখিন্দর।
চন্ডীমঙ্গল কাব্য • চন্ডী দেবীর কাহিনী
অবলম্বনে রচিত
হয় চন্ডীমঙ্গল
কাব্য। • চন্ডীমঙ্গল
কাব্যের আদি
কবি হলেন
মানিক দত্ত
এবং শ্রেষ্ঠ
কবি হলেন
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী। • চন্ডমঙ্গল কাব্যের উল্লেখযোগ্য
চরিত্র গুলো
হল- কালকেতু,
ফুল্লরা, ধনপতি,
খুল্লনা, ভাড়ু
দত্ত এবং
মুবারিশীল। অন্নদামঙ্গল কাব্য • দেবী অন্নদার
গুণকীর্তন রয়েছে অন্নদামঙ্গল কাব্যে। • অন্নদামঙ্গল
কাব্যের প্রধান
কবি ভারতচন্দ্র
রায় গুণাকর।
তিনি মধ্যযুগের
সর্বশেষ কবি।
ভারতচন্দ্রের মাধ্যমেই মধ্যযুগের পরিসমাপ্তি ঘটে।
তিনি নবদ্বীপের
মহাারা কৃষ্ণচন্দ্রের
সভাকবি ছিলেন।
• অন্নদামঙ্গল কাব্যের উল্লেখযোগ্য চরিত্র গুলো
হল- মানসিংহ,
ভবানন্দ, বিদ্যা,
সুন্দর এবং
মালিনী। ধর্মমঙ্গল
কাব্য • ডোম
সমাজের দেবতা
ধর্মঠাকুরের মাহাত্ন্য প্রচারের জন্য 'ধর্মমঙ্গল'
কাব্য ধারার
সূত্রপাত হয়েছে।
• ধর্মমঙ্গল কাব্যের আদি কবি ময়ূরভট্ট।
কালিকামঙ্গল কাব্য • অপূর্ব রূপ গুণান্বিত
রাজকুমার সুন্দর
এবং বীরসিংহের
অতুলনীয়া সুন্দরী
কন্যা বিদ্যার
গুপ্ত প্রণয়কাহিনী
কালিকামঙ্গল কাব্যের মূল উপজীব্য বিষয়।
• কালিকামঙ্গল কাব্যের আদি কবি হলেন
কবি কঙ্ক।
মধ্যযুগে মুসলিম কবিগণ
রচনা করেন
রোমান্টিক কাব্য। পক্ষান্তরে হিন্দুধর্মাবলী কবিগণ
রচনা করেন
দেব দেবী
নির্ভর আখ্যান
/ কাহিনী কাব্য।
মধ্যযুগে সতের
শতকে বাংলার
বাইরে আরাকান
রাজসভায় বাংলাভাষা
ও সাহিত্যের
চর্চা হয়।
মধ্যযুগে দুটো
বিরাম চিহ্ন
ছিল। (১)বিজোড় সংখ্যক
লাইনের পর
এক দাড়ি
(২) জোড়
সংখ্যক লাইনের
পর দুই
দাড়ি।
মুসলিম
সাহিত্যঃ • বাংলা সাহিত্যের
প্রথম মুসলিম
কবি শাহ
মুহম্মদ সগীর
(১৫ শতক)
• "ইউসুফ-জোলেখা" কাব্যগ্রন্থটি
লিখেছেন শাহ
মুহম্মদ সগীর,
গিয়াস উদ্দিন
আযম শাহ
এর আমলে।
• শাহ মুহম্মদ
সগীর বাংলা
সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক কবি এবং
ইউসুফ-জোলেখা
বাংলা সাহিত্যের
প্রথমরোমান্টিক কাব্য। • ইউসুফ-জোলেখা আরও
লিখেন আব্দুল
হাকিম, ফকির
গরীবুল্লাহ, ফকির মুহম্মদ প্রমুখ। • দৌলত
উজ়ির বাহরাম
খান রচিত
কাব্য - লায়লী-মজনু, জঙ্গনামা।
• কোরেশী মাগন
ঠাকুরের উতসাহে
আলাওল কাব্য
রচনা করেন।
• কোরেশী মাগন
ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ
- চন্দ্রাবতী • মর্সিয়া আরবী শব্দ যার
অর্থ শোক
করা, বিলাপ
করা। • মর্সিয়া
সাহিত্যের আদিকবি শেখ ফয়জুল্লাহের গ্রন্থের
নাম জয়নাবে
চৌতিশা। • আব্দুল হাকিমের রচিত কাব্য
ইউসুফ-জোলেখা,
নূরনামা • আলাওল এর রচিত কাব্যগ্রন্থ
- পদ্মাবতী, সয়ফুলমূলক, বদিউজ্জামান, সিকান্দার নামা,
অনুবাদ
সাহিত্যঃ • সংস্কৃত ভাষায়
লিখিত পৌরাণিক
কাব্য মহাভারতের
মূল রচয়িতা
কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন
ব্যাস দেব।
• মহাভারত প্রথম বাংলা অনুবাদ করেন
কবীন্দ্র পরমেশ্বর।
• সুলতান হোসেন
শাহের সেনাপতি
পরাগল শাহ'র পৃষ্ঠপোষকতায়
কবীন্দ্র পরমেশ্বর
মহাভারত রচনাকরেন
যা "পরাগলী
মহাভারত" নামে পরিচিত। • সংস্কৃত ভাষায়
লিখিত পৌরাণিক
মহাকাব্য রামায়ণের
মূল রচয়িতা
বাল্মীকি। • রামায়ণ প্রথম বাংলায় অনুবাদ
করেন কৃত্তিবাস
ওঝা। • রামায়ণের
প্রথম মহিলা
অনুবাদক - চন্দ্রাবতী। • শাহনামা মৌলিক গ্রন্থের
রচয়িতা - ইরানের
কবি ফেরদৌসি,
বাংলা অনুবাদক
- মোজাম্মেল হক।
মধ্যযুগে অনুবাদ হয়েছে
প্রধানত সংস্কৃত
থেকে (মহাভারত,
রামায়ণ, ভাগবত),
হিন্দী সাহিত্য
থেকে এবং
আরবি-ফারসি
সাহিত্য থেকে।
রামায়ণ: • খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে বাল্মীকি
(বাল্মীকির মূল নাম দস্যু রত্নাকর)
সংস্কৃত ভাষায়
রামায়ণ রচনা
করেন। • রামায়ণ
সাত খন্ডে
রচিত, এতে
শ্লোকসংখ্যা ২৪০০০। • রামায়ণের প্রথম অনুবাদক
পনের শতকের
কবি কৃত্তিবাস
ওঝা। তিনি
হলেন প্রথম
এবং শ্রেষ্ঠ
অনুবাদক। কৃত্তিবাসের
রামায়ণের অন্য
নাম 'শ্রীরাম
পরাগলী'। • বাংলা সাহিত্যের
প্রথম মহিলা
কবি চন্দ্রাবতী
সতের শতকে
রামায়ণ অনুবাদ
করেন।
মহাভারত • মহাভারতের মূল
রচয়িতা কৃষ্ণ
দ্বৈপায়ন। বেদ এর ব্যাখ্যা করেছিলেন
বলে তাঁর
অপর নাম
বেদব্যাস। • মহাভারত আঠার খন্ডে রচিত
এবং এর
শ্লোক সংখ্যা
৮৫০০০। • মহাভারতের
প্রথম অনুবাদক
ষোল শতকের
কবি কবীন্দ্র
পরমেশ্বর। তার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন পরাগল
খাঁন। কবীন্দ্র
পরমেশ্বর এর
মহাভারতের নাম ছিল পরাগলী মহাভারত।
ভাগবত • ভাগবত বার
খন্ডে রচিত
এবং এর
শ্লোকসংখ্যা ৬২০০০। এই গ্রন্থটি বাংলায়
অনুবাদ করেন
মালাধর বসু।
• এজন্য তিনি
বাদশাহ রুকনউদ্দিন
বরবক শাহের
কাছ থেকে
'গুণরাজ খান'
উপাধি লাভ
করেন। তার
ভাগবতের নাম
'শ্রীকৃষ্ণবিজয়'।
রোমান্সধর্মী প্রণয়োপাখ্যান • ইরানি কবি
ফেরদেৌসীর ইউসুফ-জোলেখা কাব্যের বাংলায়
অনুবাদ করেন
শাহ্ মুহম্মদ
সগীর, আবদুল
হাকিম, গরীবুল্লাহ।
• বাংলা সাহিত্যের
প্রাচীনতম মুসলমান কবি শাহ্ মুহম্মদ
সগীর। • ফারসি
থেকে লায়লী-মজনু অনুবাদ
করেন দেৌলত
উজীর বাহরাম
খান, মুহম্মদ
খায়ের। • ফকীর
গরীবুল্লাহ ফারসি থেকে অনুবাদ করেন
জঙ্গনামা। • ফারসি থেকে গুলেবকাIলী
অনুবাদ করেন
নওয়াজিস খান,
মুহম্মদ মুকীম।
• ফারসি হাতেম
তাই থেকে
অনুবাদ করেন
সাদতুল্লাহ, সৈয়দ হামজা। • আলাওল ফারসি
থেকে অনুবাদ
করেন সপ্ত
পয়কর, সিকান্দার
নামা, তোহফা,
সয়ফুলমুলক-বদিউজ্জামান। • হিন্দি কবি সাধন
রচিত 'মৈনাসত'
থেকে সতীময়না
ও লোরচন্দ্রানী
প্রথম এবং
দ্বিতীয় খন্ড
রচনা করেন
দেৌলত কাজী।
আর তৃতীয়
খন্ড রচনা
করেন আলাIল। • হিন্দি
কবি মালিক
মুহম্মদ জায়সী
রচিত 'পদুমাবত'
থেকে পদ্মাবতী
রচনা করেন
আলাওল। • মধুমালতী
অনুবাদ করেন
মুহম্মদ কবীর,
সৈয়দ হামজা,
মুহম্মদ চুহর,
শাকের মুহম্মদ।
• আরাকান রাজসভায়
বাংলা সাহিত্য
• দৌলত কাজী:
রাজসভার আদি
কবি। আরাকান
রাজসভার প্রথম
বাঙ্গালী কবি।
• আলাওল: রাজসভার
সর্বশ্রেষ্ঠ কবি। মধ্যযুগের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য
মুসলমান কবি।
• কোরেশী মাগন
ঠাকুর: রোসাঙ্গরাজের
প্রধানমন্ত্রী এবং আলাওলের পৃষ্ঠপোষক। 'চন্দ্রবতী'
কোরেশী মাগন
ঠাকুর রচিত
একটি কাব্যগ্রন্থ।
নাথ সাহিত্য • বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে নাথ
ধর্মের কাহিনী
অবলম্বনে রচিত
আখ্যায়িকা কাব্য নাথ সাহিত্য নামে
পরিচিত। • নাথ সাহিত্যের প্রধান কবি
শেখ ফয়জুল্লাহ।
শেখ ফয়জুল্লাহ
রচনা করেন
গোরক্ষ বিজয়।
• নাথ সাহিত্যের
অন্যান্য কবি
হলেন শ্যামদাস
সেন, ভীমসেন
রায়, দুর্লভ
মল্লিক, ভবানী
দাস, শুকুর
মাহমুদ। • নাথ সাহিত্য সংগ্রহ এবং
সম্পাদনা করেছেন
আবদুল করিম
সাহিত্য বিশারদ।
মর্সিয়া সাহিত্য • মুসলমান সংস্কৃতির নানা বিষাদময়
কাহিনী তথা
শোকাবহ ঘটনার
বর্ণনার মাধ্যমে
মর্সিয়া সাহিত্যের
উদ্ভব হয়েছে।
• মর্সিয়া সাহিত্যের আদি কবি শেখ
ফয়জুল্লাহকে মনে করা হয়। তিনি
'জয়নবের চেৌতিশা'
নাম গ্রন্থটি
রচনা করেন।
• মর্সিয়া সাহিত্যের অন্যান্য কবিগণ ছিলেন
দেৌলত উজির
বাহরাম খান,
মুহম্মদ খান,
হায়াত মামুদ,
জাফর হামিদ।
বৈষ্ণব পদাবলী • পদ বা পদাবলী মূলত
বৈষ্ণবীয় ধর্মের
গূঢ় বিষয়ের
বিশেষ সৃষ্টি।
• বৈষ্ণব পদাবলীর
শ্রেষ্ঠ কবি
চার জন-
বিদ্যাপতি, চন্ডীদাস, গোবিন্দ দাস এবং
জ্ঞানদাস। • বিদ্যাপতি বৈষ্ণব পদাবলীর আদি
রচয়িতা এবং
প্রথম অবাঙ্গালী
কবি। গীতিকাঃ • আখ্যানমূলক
লোকগীতি বাংলাসাহিত্যে
গীতিকা নামে
পরিচিত। • "গীতিকা" - কে ইংরেজীতে বলা
হয় Ballad, যা ফারসিতে Ballet বা নৃত্য
শব্দ থেকে
এসেছে। • ময়নসিংহ
গীতিকা ২৩
টি ভাষায়
অনূদিত হয়।
• ১৯২৩ সালে
"মৈমনসিংহ গীতিকা" নামে সংকলন প্রকাশিত
হয়। • "মহুয়া" পালাটির রচয়িতা দ্বিজ
কানাই এবং
"দেওয়ানা মদিনা" পালাটির রচয়িতা মনসুর
বয়াতি।
ময়নসিংহ গীতিকায় ১০টি
গীতিকা স্থান
পেয়েছে, যথা-মহুয়া, মলুয়া,
চন্দ্রাবতী, কমলা, দেওয়ান ভাবনা, দস্যু
কেনারামের পালা, রূপবতী, কঙ্ক ও
লীলা, কাজলরেখা
ও দেওয়ানা
মদিনা। ভনিতা
থেকে কিছু
গীত রচয়িতার
নাম জানা
যায়, যেমন
মহুয়া-দ্বিজ
কানাই, চন্দ্রাবতী-
নয়ানচাঁদ ঘোষ, কমলা- দ্বিজ ঈশান,
দস্যু কেনারামের
পালা- চন্দ্রাবতী,
দেওয়ানা মদিনা-
মনসুর বয়াতি।
কঙ্ক ও
লীলার রচয়িতা
হিসেবে ৪
জনের নাম
পাওয়া যায়-
দামোদর দাস,
রঘুসুত, শ্রীনাথ
বিনোদ ও
নয়ানচাঁদ ঘোষ। অবশিষ্ট গীতিকার রচয়িতার
নাম জানা
যায় না।
গীতিকায় রচয়িতার
নাম থাকলেও
তাঁদের স্বতন্ত্র
কবিত্বের চিহ্ন
নেই; বরং
বিষয়বস্ত্ত, শিল্পাঙ্গিক, ভাষাভঙ্গি ও পরিবেশনা
রীতি অভিন্ন
বলেই প্রতিভাত
হয়। আখ্যানগুলি
লোকসমাজ থেকেই
গৃহীত হয়েছে।
ধর্ম নয়,
পার্থিব জীবনকথা
গীতিকার প্রধান
বৈশিষ্ট্য। মৈমনসিংহ গীতিকার দস্যু কেনারামের
পালা ছাড়া
বাকি ৯টি
পালার মুখ্য
বিষয় নরনারীর
লৌকিক প্রেম।
প্রেমের পরিণতি
কোনোটির মিলনাত্মক,
কোনোটির বিয়োগান্তক।
নায়িকার নামানুসারে
গীতিকাগুলির নামকরণ হয়েছে। গীতিকাগুলিতে পুরুষ
চরিত্রের তুলনায়
নারী চরিত্রের
ভূমিকা উজ্জ্বল
ও প্রাণবন্ত।
প্রেমের প্রতিষ্ঠায়
তারাই বেশি
সংগ্রাম ও
ত্যাগ স্বীকার
করেছে। নারীদের
একনিষ্ঠ প্রেম
ও বলিষ্ঠ
চরিত্র থেকে
অনেকে মনে
করেন, গীতিকাগুলিতে
কোনো মাতৃতান্ত্রিক
সমাজের প্রভাব
থাকতে পারে।
পুঁথি
সাহিত্যঃ • অষ্টাদশ শতকের
দ্বিতীয়ার্ধে আরবি-ফারসি শব্দ মিশ্রিত
কাব্যকে দোভাষী
পুঁথি বলে।
• "ফকির গরীবুল্লাহ" পুঁথি সাহিত্যের প্রথম
সার্থক ও
জনপ্রিয় কবি।
• পুঁথি সাহিত্যের
উল্লেখযোগ্য কবিগণ হচ্ছেন- কবি কৃষ্ণরাম
দাস, ফকির
গরীবুল্লাহ, সৈয়দ হামজা। • পুঁথি সাহিত্যের
ভাষায় বৈশিষ্ট্য
হচ্ছে ইসলামী
চেতনা সম্পৃক্ত।
• দোভাষী বাংলা
রচিত পুঁথি
সাহিত্যকে বলা হয় - বটতলার পুঁথি।
• অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে আরবি-ফারসি
শব্দমিশ্রিত এক ধরনের বিশেষ ভাষারীতিতে
যে সব
কাব্য রচিত
হয়েছিল তা
বাংলা সাহিত্যের
ইতিহাসে 'পুথি
সাহিত্য' নামে
চিহ্নিত। • পুথি সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য কবিগণ
হচ্ছেন- কবি
কৃষ্ণরাম দাস,
ফকির গরীবুল্লাহ,
সৈয়দ হামজা।
• পুথি সাহিত্যের
প্রাচীনতম লেখক সৈয়দ হামজা।
কবিওয়ালা
ও শায়েরঃ • কবিওয়ালা ও শায়েরের উদ্ভব
আঠারো শতকের
মাঝামাঝি থেকে
উনিশ শতকের
মাঝামাঝি সময়ে।
• আরবি-ফারসি-হিন্দি-উর্দু
ভাষার মিশ্রণে
মুসলমানের কাব্য রচয়িতাদের বলা হতো
-শায়ের। • কবিতাকে যারা জীবিকা নির্বাহের
উপায় হিসেবে
গ্রহণ করত
তাদের বলা
হতো - কবিওয়ালা।
• আঠারো শতকের
দ্বিতীয়ার্ধে এবং উনিশ শতকের প্রতমার্ধে
রাষ্ট্রিক, আর্থিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক
বিপর্যয়ের মুখে কলকাতার হিন্দু সমাজে
'কবিIয়ালা'
এবং মুসলমান
সমাজে 'শায়ের'
এর উদ্ভব
ঘটে। • এ
কবিয়াল এবং
শায়েররা যে
সাহিত্য রচনা
করেছে তাকে
দোভাষী সাহিত্য
বলে। • গোজলা
গুই হলেন
কবিগানের আদিগুরু।
কবিগানঃ
• দুই পক্ষের
তর্ক ও
বিতর্কের মাধ্যমে
অনুষ্ঠিত গানকে
কবিগান বলা
হয় • কবিগানের
আদিগুরু গোঁজলা
গুই, শ্রেষ্ঠ
রচয়িতা - হরু
ঠাকুর • কবিগান
রচনা ও
পরিবেশনায় বিশেষভাবে সুখ্যাতি লাভ করেছিলেন
এন্টনি ফিরিঙ্গি
ও রামপ্রসাদ
রায়।
টপ্পাগানঃ
• টপ্পাগান এর উদ্ভব- কবিগানের সমসাময়িককালে,
হিন্দি টপ্পাগান
এর আদর্শে।
• বাংলা টপ্পাগানের
জনক-নিধুবাবু
বা রামনিধি
গুপ্ত • আধুনিক
বাংলা গীতিকবিতার
সুত্রপাত - টপ্পাগান থেকে • টপ্পাগানের রচয়িতা
- কালী মির্জা
ও শ্রীধর
কথক
পাঁচালীগানঃ
পাঁচালীগানের শক্তিশালী কবি - দাশরথি রায়
/দাশু রায়।
তার পাঁচালী
পালা প্রকাশ
হয়েছিল দশ
খন্ডে।
লোকসাহিত্যঃ
• ইংরেজীতে Folklore শব্দের বাংলা
প্রতিশব্দ "লোকসাহিত্য"। • জনসাধারণের মুখে
মুখে প্রচলিত
গান, কাহিনী,
গল্প, ছড়া,
প্রবাদ - লোকসাহিত্য।
• লোকসাহিত্যের উপাদান জনশ্রুতিমূলক বিষয় এবং
প্রাচীনতম সৃষ্টি ছড়া। • "হারামণি" হলো
প্রাচীন লোকগীতি,
এর সংকলক-
মুহম্মদ মনসুর
উদ্দীন। • ড. আশুতোষ ভট্রাচার্য লোককথাকে-
রূপকথা, উপকথা
এবং ব্রতকথা
এই তিন
ভাগে ভাগ
করেছেন। • ঠাকুরমার ঝুলি, ঠাকুরদাদার ঝুলি,
ঠানদাদার থলে
প্রভৃতি জনপ্রিয়
রূপকথার সংকলক
-দক্ষিণারঞ্জনমিত্র মজুমদার। • পশুপক্ষীর
চরিত্র অবলম্বনে
রচিত কাহিনীকে
বলে - উপকথা
যেমনঃ ঈশপের
উপকথা। • মেয়েলী
ব্রতে সঙ্গে
সম্পর্কিত কাহিনী অবলম্বনে রচিত লোককথাই
- ব্রতকথা।
[১৭৬০ সালে ভারতচন্দ্র
মারা যাবার
পর মধ্যযুগের
সমাপ্তি হয়
... প্রশ্ন উঠতে পারে ভারত চন্দ্র
মারা যাবার
সাথে সাথে
মধ্যযুগের পতনের কি সম্পর্ক? ভারতচন্দ্র
মারা যাবার
পর মধ্যযুগের
সমাপ্তি হয়
কারণ মঙ্গলকাব্যের
চারশ বছরের
কাব্যধারার সমাপ্তি ... কিন্তু এই কারনের
সাথে আরও
একটা কারণ
জড়িত ... রাজনৈতিক
ভাবেও এই
এলাকার পটভূমি
পরিবর্তন হতে
থাকে। ১৭৫৭
সালে পলাশির
প্রান্তরে সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হওয়ার মধ্যদিয়ে
ইংরেজ তথা
বৃটিশদের শাসন
হয় তখন
সাহিত্যের আবির্ভাব হয় যা আধুনিক
সাহিত্য ধারার
প্রবর্তন করার
অন্যতম কারণ]
যুগসন্ধিক্ষণঃ
(১৭৬১-১৮৬০ খ্রী.) যুগসন্ধিক্ষণ
মানে দুই
যুগের মিলন
যুগ সন্ধিক্ষণ
এমন একটি
যুগ যে
যুগে মধ্য
যুগ এবং
আধুনিক যুগের
মিশ্র বৈশিষ্ট
পাওয়া যায়।
যুগসন্ধিক্ষণের কবি ইশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ইশ্বরচন্দ্র
গুপ্তকে স্ববিরোধী
কবি ও
বলা হয়েছে।
[স্ববিরোধী বলার কারণঃ প্রথমদিকে তিনি
ইংরেজদের শাসনের
বিরুদ্ধে লেখলেও
শেষের দিকে
তার কাব্যে
ইংরেজদের শাসনের
প্রশংসা করেছেন]
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের
প্রথম নির্দশন
কি?
|
শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন।
|
শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনকাব্য কে
রচনা করেন?
|
চৈতন্যপূর্ব যুগ।
|
শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য
কোন যুগের
নিদর্শন?
|
বড়ু চন্ডীদাস।
|
বড়ু চন্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণ
কীর্তন কাব্য
কে উদ্ধার
করেন?
|
বসন্তরঞ্জন রায়, ১৯০৯।
|
শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য
কোথা থেকে
উদ্ধার করা
হয়?
|
পশ্চিম বঙ্গের বাকুড়া
জেলার কাকিলা
গ্রামের এক গৃহস্থ বাড়ীর গোয়ালঘর
থেকে উদ্ধার
করেন।
|
বৈষ্ণব পদাবলীর আদি
রচয়িতা কে?
|
বড়ু চণ্ডীদাস।
|
আদি যুগে লোকজীবনের
কথা বিধৃত
সর্বপ্রথম সাহিত্যক নিদর্শন কোনটি?
|
ডাক খনার বচন।
|
মধ্যযুুগের বাংলা সাহিত্যর
প্রধান দুটি
ধারা কি
?
|
১। কাহিনীমূলক ও
২। গীতিমূলক।
|
শ্রী চৈতন্যর নামানুসারে
মধ্যযুগের বিভাজন কিরূপ?
|
চৈতন্য পূর্ববর্তী যুগ
(১২০১-১৫০০
খ্রিঃ), চৈতন্য যুগ (১৫০১-১৬০০)
ও চৈতন্য
পরবর্তী যুগ (১৬০১-১৮০০)
|
চৈতন্য পরবর্তী যুগ
বা মধ্যযুগের
শেষ কবি
কে?
|
ভারতচন্দ্র রায় গুনাকর।
|
আধুনিক যুগের উদগাতা
কে?
|
মাইকেল মধুসুদন দত্ত।
|
কোন যুগকে অবক্ষয়ের
যুগ বলা
হয় ?
|
১৭৬০-১৮৬০সাল পর্যন্ত।
|
বাংলা সাহিত্যর আধুনিক
যুগের সময়কাল
কয়পর্বে বিভক্ত ও কি কি?
|
চারটি পর্বে বিভক্ত।
যেমন- ১.
প্রস্তুতি পর্ব (১৮০১-১৮০৫)খ্রিঃ,
২. বিকাশ
পর্ব (১৮৫১-১৯০০) খ্রিঃ,
৩.রবীন্দ্র
পর্ব (১৯০১-১৯৪০) খ্রিঃ
ও ৪.
অতি-আধুনিক
যুগ (১৯০১
বর্তমান কালসীমা)।
|
আধুনিক যুগ কোন
সময় পর্যন্তু
বিস্তৃত?
|
১৮০১ সাল থেকে
বর্তমান।
|
যুগ সন্ধিক্ষনের কবি
কে ?
|
ঈশ্বরচন্দ্র দত্ত।
|
বাংলা ভাষায় রামায়ন
কে অনুবাদ
করেন?
|
কৃত্তিবাস।
|
রামায়নের আদি রচয়িতা
কে?
|
কবি বাল্মীকি।
|
বাংলা ভাষায় মহাভারত
কে অনুবাদ
করেন?
|
কাশীরাম দাস।
|
মহাভারতের আদি রচয়িতা
কে?
|
বেদব্যাস।
|
গীতি কাব্যের রচয়িতা
কে?
|
গোবিন্দ্রচন্দ্র দাস।
|
পুঁথি সাহিত্যের প্রথম
সার্থক কবি
কে?
|
ফকির গরিবুল্লাহ।
|
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের
শ্রেষ্ঠ কবি কে?
|
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।
|
বাংলা গদ্যের জনক
কে?
|
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
|
আধুনিক যুগের শ্রেষ্ঠ
প্রতিভু কে?
|
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
|
বাংলা ভাষার আদি
কবি ?
|
কানা হরিদত্ত।
|
বাংলা গদ্যর উৎপত্তি কোথায়?
|
আঠার শতকে।
|
বাংলা ভাষা ও
সাহিত্যর প্রাচীনতম শাখা কোনটি?
|
কাব্য।
|
বাংলা গদ্য সাহিত্য
কখন শুরু
হয়?
|
আধুনিক যুগে।
|
আলাওল কোন যুগের
কবি?
|
মধ্য যুগের।
|
মধ্যযুগের অবসান ঘটে
কখন?
|
ঈশ্বর গুপ্তের মৃত্যুর
সঙ্গে।
|
উনিশ শতকের সবচেয়ে
খ্যাতনামা বাউল শিল্পী কে?
|
লালন শাহ।
|
কাঙ্গাল হরিনাথ কখন
আবির্ভূত হন?
|
উনিশ শতকের শেষার্ধে।
|
বিষাদসিন্ধু কোন যুগের
গ্রন্থ?
|
আধুনিক যুগের।
|
মধ্যযুগের অন্যতম সাহিত্য
নিদর্শন কি?
|
পদ্মাবতী ও অন্নদামঙ্গল।
|
চন্ডীদাস কোন যুগের
কবি ?
|
মধ্যযুগের।
|
আধুনিক বাংলা গীতি
কবিতার সূত্রপাত?
|
টপ্পাগান।
|
টপ্পা গানের জনক
কে?
|
নিধুবাবু (রামনিধি গুপ্ত)।
|
মীর মোশাররফ সাহিত্য
ক্ষেত্রে আবির্ভূত হন?
|
উনিশ শতকের শেষার্ধে।
|
আধুনিক যুগের অন্যান্য বৈশিষ্ঠ হলো: ১.গল্প ২.উপন্যাস ৩.নাটক ৪.প্রহসন ৫.প্রবন্ধ
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ:
• ১৮০০ সালের ৪ মে কলকাতার লালবাজারে লর্ড ওয়েলেসলি কর্তৃক ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৫৪ সাল পর্যন্ত এটি চালু ছিল।
• ১৮০১ সালের ২৪ নবেম্বর এই কলেজে বাংলা বিভাগ চালু হয়। বাংলা বিভাগের প্রধান ছিলেন পাদ্রী উইলিয়াম কেরী। উইলিয়াম কেরীর 'কথপোকথন' বাংলা ভাষার প্রথম মুদ্রিত গদ্যগ্রন্থ। উইলিয়াম কেরী ইতিহাস মালা নামে আরেকটি গ্রন্থ রচনা করেন।
• ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অপরাপর পন্ডিতগণ হলেন মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, রামরাম বসু, গোলকনাথ শর্মা, চন্ডীচরণ মুন্সী, হরপ্রসাদ রায় এবং রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়।
• মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার রচনা করেন বত্রিশ সিংহাসন, হিতোপদেশ, প্রবোধচন্দ্রিকা, বেদান্তচন্দ্রিকা, রাজাবলী।
• রামরাম বসু রচনা করেন রাজা প্রতাপাদিত্য রচিত্র, লিপিমালা।
• গোলকনাথ শর্মা রচনা করেন হিতোপদেশ।
• চন্ডীচরণ মুন্সী রচনা করেন তোতা ইতিহাস।
• হরপ্রসাদ রায় রচনা করেন পুরুষ পরীক্ষা।
• রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায় রচনা করেন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং।
প্রধান বাংলা সাহিত্যক এবং তাদের কর্মের পরিচয়
রাজা রামমোহন রায় (১৭৭৪-১৮৩৩)
• রামকান্ত রায় ও তারিণী দেবী'র ২য় পুত্র রামমোহন রায় হুগলী জেলার রাধানগরে ১৭৭৪ সালে জন্মগ্রহন করেন।
• তার প্রথম জীবনের ভ্রমন সম্পর্কে 'তুহফাত-উল-মুজাহিদীন' এ তিনি নিজে লিখেছেন "আমি পৃথিবীর সুদূর প্রদেশ গুলিতে, পার্বত্য ও সমতলভূমিতে পর্যটন করিয়াছি"।
• সতীদাহ প্রথা রহিতকরণে তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। রাজা রামমোহন রায়ের ছদ্মনাম ছিল শিবপ্রসাদ রায়।
• ১৮১৪ সাল থেকে স্হায়ীভাবে কলকতায় বসবাস শুরু করেন।এ সময় থেকে তিনি ধর্ম ও সহমরণ প্রথা রোধ প্রভৃতি সমাজ সংস্কার মূলক আন্দোলন শুরু করেন এবং 'ব্রাহ্মন সেবধি', 'সশ্বাদ কৌমুদি' ও 'মীরাত্উল আখবার পত্রিকা প্রকাশ করেন।
• রামমোহন রায় কর্তৃক ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮২৮ সালে।
• তার রচিত বাংলা ব্যাকরণের নাম 'গৌড়ীয় ব্যাকরণ'। এটি ইংরেজী ভাষায় লেখা হয়েছিল ১৮২৬ সালে। পরে ১৮৩৩ সালে এর বাংলা অনুবাদ হয়।
• তিনি ফারসি ভাষার পত্রিকা 'মিরাতুল আখবার' সম্পাদনা করেন।
• রামমোহনের রচিত গ্রন্থগুলো হল- বেদান্ত গ্রন্থ (১৮১৫), বেদান্ত সার (১৮১৫), ভট্টাচার্যের সচিত বিচার (১৮১৭), গোস্বামীর সহিত বিচার (১৮১৮), উপনিষদের অনুবাদ (১৮১৫-১৯), সহমরণ বিষয়ক 'প্রবর্তক নিবর্তক সম্বাদ (১৮১৮-১৯)' এবং পথ্য প্রদান (১৯২৩)।
• ১৮৩২ সালে তিনি ফ্রান্সে যান এবং রাজা ফিলিপ লুই এর সাথে সাক্ষাত করেন।১৮৩৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল শহরে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১)
• ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর শিল্পসম্মত বাংলা গদ্যের জনক।
• ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পারিবারিক পদবী বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৮৪০ সালে তিনি সংস্কৃত কলেজ থেকে 'বিদ্যাসাগর' উপাধি লাভ করেন। তিনি ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা নামে স্বাক্ষর করতেন।
• তিনি বাংলা গদ্যে ১৫টি বিরামচিহ্নের প্রবর্তন করেন। বিদ্যাসাগরের ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম 'ব্যাকরণ কেŠমুদী'।
• ১৮৫৬ সালে বিধবা বিবাহ আইন পাস করানোর ক্ষেত্রে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
• তিনি ১৮৪১ সালে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে পন্ডিত হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।
• ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অনুবাদ গ্রন্থ হল- বেতাল পÂবিংশতি (১৮৪৭), শকুন্তলা (১৮৫৪), সীতার বনবাস (১৮৬০), ভ্রান্তিবিলাস (১৮৬৯) ইত্যাদি।
• ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মৌলিক গ্রন্থ হল- প্রভাবতী সম্ভাষণ (১৮৬৩), বিদ্যাসাগর রচিত (১৮৯২), সংস্কৃত ভাষা I সংস্কৃত সাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব (১৮৫৩), বিধবা বিবাহ চলিত হIয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব (১৮৫৫), বিধবা বিবাহ রহিত হIয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক বিচার (১৮৭১), অতি অল্প হইল (১৮৭৩), আবার অতি অল্প হইল (১৮৭৩), ব্রজবিলাস (১৮৮৪), রত্ন পরীক্ষা (১৮৮৬) ইত্যাদি।
• ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত পাঠ্যবই হল- বর্ণপরিচয় (১৮৫৫), কথামালা, বোধোদয় (১৮৫১), আখ্যানমঞ্জরী ইত্যাদি।
অক্ষয়কুমার দত্ত (১৮২০-১৮৮৬)
• তিনি বাঙালির মধ্যে প্রথম বিজ্ঞানমনস্ক লেখক। অক্ষয়কুমার দত্ত 'তত্ত্ববোধিনী (১৮৪৩)' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ব্রাহ্মসমাজের মুখপত্র ছিল।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩)
• ১৮৪৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মাইকেল খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন।
• মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের সর্বপ্রথম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্য 'মেঘনাদ বধ (১৮৬১)' রচনা করেন। এটি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত। এ কাব্যে সর্গ সংখ্যা ৯ টি। এটি একটি বীররসের কাব্য।
• মাইকেলের রচিত নাটকগুলো হল- শর্মিষ্ঠা (১৮৫৯)- বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক, পদ্মাবতী- বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক কমেডি, কৃষ্ণকুমারী- বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডি, মায়াকানন।
• মাইকেলের রচিত কাব্যগ্রন্থ হল- দি ক্যাপটিভ লেডি (১৮৫৯)- মাইকেলের প্রথম কাব্যগ্রন্থ, ভিসন অব দি পাস্ট, তিলোত্তমাসম্ভব (১৮৬০)- মাইকেলের প্রথম বাংলা কাব্যগ্রন্থ, চতুর্দশপদী কবিতাবলী- বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনট সংকলন, বীরাঙ্গনা- বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্র কাব্য, ব্রজাঙ্গনা- বৈষ্ণব পদাবলীর আধুনিক পরিণতি।
• মাইকেলের রচিত প্রহসন হল- বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোu (১৮৬০)- এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রহসন, একেই কি বলে সভ্যতা।
দীনবন্ধু মিত্র (১৮৩০-১৮৭৩)
• দীনবন্ধু মিত্র নাট্যকার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। দীনবন্ধুর উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হল- নীলদর্পণ (১৮৬০)- এটি ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ, নবীন তপস্বিনী, কমলে কামিনী, লীলাবতী।
• দীনবন্ধু মিত্রের উল্লেখযোগ্য প্রহসনগুলো হল- সধবার একাদশী, জামাই বারিক, বিয়ে পাগলা বুড়ো।
• দীনবন্ধু মিত্রের জন্ম সাল ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে।
• তাঁর রচিত জনপ্রিয় কাব্যগুলো : সুরধুনী কাব্য (১ম ভাগ ১৮৭১ ও ২য় ভাগ ১৮৭৬) ও দ্বাদশ কবিতা (১৮৭২)।
• দীনবন্ধু মিত্র নাট্যকার রূপে সমাধিক খ্যাত?
• নীলকর সাহেবদের বীভৎস অত্যাচারের লাঞ্ছিত নীল চাষীদের দুরবস্থা অবলম্বনে রচিত তাঁর নাটকের নাম: নীল দর্পণ (১৮৬০)।
• নীল-দর্পণকে বাংলাদেশের নাটক বলা হয় কারণ, নাটকটির কাহিনি মেহেরপুর অঞ্চলের, দীনবন্ধু ঢাকায় অবস্থানকালে তা রচনা করেন। নাটকটি প্রথম প্রকাশ হয় ঢাকার বাংলা প্রেস থেকে এবং প্রথম মঞ্চস্থও হয় ঢাকাতে।
• নীল-দর্পণ নাটকের মাইকেল মধুসূদন দত্ত কৃত ইংরেজিতে অনুবাদের নাম: Nil Darpan or The Indigo Planting Mirror (1861).
• মধুসূদন A Native ছদ্মনামে এই অনুবাদ করেন?
• ইংরেজি শিক্ষিত নব্য যুবকদের মদ্যপান ও বারবণিতা সঙ্গকে বঙ্গ করে তাঁর রচিত প্রহসন: সধবার একাদশী (১৮৬৬)।
• সমাজের প্রাচীনপন্থীদের ব্যঙ্গ করে তাঁর রচিত প্রহসনের নাম: উত্তরঃ বিয়ে পাগলা বুড়ো (১৮৬৬)।
• তাঁর রচিত অপরাপর নাটকগুলো হল নবীন তপস্বিনী (১৮৬৬), লীলাবতী (১৮৬৭), জামাই বারিক (১৮৭২), কমলে কামিনী (১৮৭৩) ইত্যাদি।
[টেকনিক: দীনবন্ধু মিত্রের নাটক ও প্রহসন: নবীন জামাই কমল সধবার একাদশীতে লীলাবতীকে নিয়ে নীলদর্পণ নাটক দেখতে গেলে এক বুড়ো তাকে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে যায়।]
ভাই গিরিশচন্দ্র সেন (১৮৩৫-১৯১০)
• ভাই গিরিশচন্দ্র সেন সর্বপ্রথম কুরআন শরীফের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেন (১৮৮১-৮৬)।
• ৯৬ জন সূফীর জীবন কাহিনী নিয়ে ফারসী ভাষার ফরিদুদ্দিন আত্তারের 'তাজকেরাতুল আওলিয়া' অবলম্বনে রচনা করেন তাপসমালা।
• ভাই গিরিশচন্দ্র সেনের মেৌলিকগ্রন্থ হচ্ছে মহাপুরুষচরিত।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪)
• বাংলা সাহিত্যে তিনি 'সাহিত্যসম্রাট' হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বপ্রথম গ্রাজুয়েট।
• বঙ্কিমের প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ললিতা তথা মানস (১৮৫৬)'
• তার উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ হচ্ছে কমলা কান্তের দপ্তর, সাম্য- এই গ্রন্থটি তিনি বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেন, লোক রহস্য, মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিত, বিবিধ প্রবন্ধ, কৃষ্ণচরিত, বিজ্ঞান রহস্য, ধর্মতত্ত্ব।
• বঙ্কিম অসামান্য অবদান রাখেন উপন্যাস রচনায়। তার উপন্যাসগুলো হচ্ছে- Rajmohon's wife (1835)- এটি লেখকের প্রথম উপন্যাস, দুর্গেশ নন্দিনী (১৮৬৫)- এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস, কপালকুন্ডলা- এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক উপন্যাস, কৃষ্ণকান্তের উইল, রজনী, বিষবৃক্ষ, রাজসিংহ, মৃণালিনী, ত্রয়ী উপন্যাস (সীতারাম, দেবী চেৌধুরাণী এবং আনন্দমঠ), চন্দ্রশেখর, রাধারাণী, যুগলাঙ্গুরীয় এবং ইন্দিরা।
মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭-১৯১১/১৯১২)
• উনবিংশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ট মুসলিম সাহিত্যিক রুপে খ্যাত 'বিষাদ সিন্ধুর' অমর লেখক মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ই নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন।
• মীর মোশাররফ হোসেনের বংশতালিকাঃ সৈয়দ সা'দুল্লাহ-মীর উমর দরাজ-মীর ইব্রাহীম হোসেন-মীর মোয়াজ্জম হোসেন-মীর মোশাররফ হোসেন।
• গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, আত্মজীবনী, প্রবন্ধ ও ধর্ম বিষয়ক প্রায় ৩৭টি বই রচনা করেছেন। এরমধ্যে রত্নাবতী, গৌরী সেতু, বসন্তকুমারী, নাটক জমিদার দর্পণ, সঙ্গীত লহরী, উদাসীন পথিকের মনের কথা, মদীনার গৌরব, বিষাদসিন্ধু বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
• তিনি কাঙাল হরিণাথ মজুমদারের সাপ্তাহিক গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকা ও কবি ঈশ্বরগুপ্তের সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায় কিছুদিন কাজ করেন।
• ১৮৮০ সালে তিনি নানা বাড়ী এলাকা লাহিনীপাড়া থেকে 'হিতকরী' নামের একটি পাক্ষিক পত্রিকা প্রকাশ করেন।
• মীর মশাররফ হোসেনের সন্তানদের নামঃ রওশন আরা, এক কন্যা (নাম জানা যায় নাই), ইব্রাহীম হোসেন, আমিনা, সালেহা, সালেমা, আশরাফ হোসেন, ওমর দারাজ, মাহবুব হোসেন, রাহেলা ও মোসতাক হোসেন।
• মীর মশাররফ হোসেন উনিশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক।
• তাঁর প্রথম জীবনীকার ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় তাঁকে বাংলা সাহিত্যে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সংগে তুলনা করেছেন।
• তিনি 'জমিদার দর্পন' নাটক লিখে তদানীন্তনকালে অন্যতম শ্রেষ্ট নাট্যকারের মর্যদা লাভ করেন।
• মীর মশাররফ হোসেন লিখিত গ্রন্থ: রত্নবতী (উপঃ ১৮৭৩), বসন্ত কুমারী (নাটক ১৮৭৩), জমিদার দর্পণ (নাটক ১৮৬৯), গড়াই ব্রীজ বা গৌড়ী সেতু (কবিতা গ্রন্থ ১৮৭৩), এর উপায় কি (প্রহসন ১৮৭৬), বিষাদ-সিন্ধু (ঐতিহাসিক উপন্যাস ১৮৮৫-৯১), সঙ্গীত লহরী (১৮৮৭), গো-জীবন (প্রবন্ধ ১৮৮৯), বেহুলা গীতাভিনয় (গীতিনাট্য ১৮৮৯), উদাসীন পথিকের মনের কথা (জীবনী ১৮৯৯), গাজী মিয়ার বস্তানী (রম্যরচনা ১৮৯৯), মৌলুদ শরীফ (গদ্যে-পদ্যে লিখিত ধর্মীয় গ্রন্থ ১৯০০), মুসলমানের বাঙ্গালা শিক্ষা (ছাত্র পাঠ্য ১ম ভাগ ১৯০৩ এবং দিত্বীয় ভাগ ১৯০৮), বিবি খোদেজার বিবাহ (কাব্য ১৯০৫), হযরত ওমরের ধর্ম জীবন লাভ (কাব্য ১৯০৫), হযরত বেলালের জীবনী (প্রবন্ধ ১৯০৫), হযরত আমীর হামজার ধর্ম জীবন লাভ (কাব্য ১৯০৫), মদিনার গৌরব (কাব্য ১৯০৬), মোশ্লেম বীরত্ব (কাব্য ১৯০৭), এসলামের জয় (প্রবন্ধ গ্রন্থ ১৯০৮), আমার জীবনী (আত্মজীবনী ১৯০৮-১০), বাজীমাত (কাব্য ১৯০৮), হযরত ইউসোফ (প্রবন্ধ গ্রন্থ ১৯০৮), খোতবা বা ঈদুল ফিতর (কাব্য ১৯০৮), বিবি কুলসুম (জীবনী ১৯১০)
• উপরোক্ত গ্রন্থসমূহ বাদে মীর মশাররফ হোসেন লিখিত অপর ১২ খানি গ্রন্থের নাম পাওয়া যায়। এই গ্রন্থগুলো হলঃ ভাই ভাই এইত চাই (প্রহসন ১৮৯৯), ফাঁস কাগজ (প্রহসন ১৮৯৯), এ কি! (প্রহসন ১৮৯৯), টালা অবিনয় (প্রহসন ১৮৯৯), পঞ্চনারী (কাব্য), প্রেম পারিজাত (কাব্য), বাঁধাখাতা (উপঃ ১৮৯৯), নিয়তি কি অবনতি (উপঃ ১৮৯৯), রাজিয়া খাতুন (উপঃ ১৮৯৯), তহমিনা (উপঃ ১৮৯৯), গাজী মিয়ার গুলি (রম্যরচনা), বৃহত হীরক খনি (শিশু পাঠ)
• ১৯১১ সালের ১৯ শে ডিসেম্বর নিজ বাড়ী রাজবাড়ী জেলার পদমদী গ্রামে মীর মশাররফ হোসেন ইনতিকাল করলে বিবি কুলসুমের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হয়।
[টেকনিক: মীর মশাররফ হোসেন এর উপন্যাস: রত্নাবতী বিষাদসিন্ধুর পানে তাকিয়ে থাকা উদাসীন পথিকের মনের কথা বুঝতে পেরে বাঁধা খাতাটি গাজি মিয়ার বস্তানীতে রাখলেন।]
কায়কোবাদ (১৮৫৭-১৯৫১)
• কায়কোবাদ ১৮৫৭ (বর্তমানে বাংলাদেশ) ঢাকার জেলাতে নবাবগঞ্জ থানার অধীনে আগলা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
• কায়কোবাদ ঢাকাতে পোগোজ স্কুল এবং সেইন্ট গ্রেগরী স্কুলে অধ্যয়ন করেন।
• ১৯৩২ সালে, তিনি কলকাতাতে অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সম্মেলন-এর প্রধান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
• কাব্যগ্রন্থ: বিরহ বিলাপ (১৮৭০)(এটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ), কুসুম কানন (১৮৭৩), অশ্রুমালা (১৮৯৬), মহাশ্মশান (১৯০৪)(এটি তারঁ রচিত মহাকাব্য), শিব মন্দির (১৯২১), অমিয় ধারা (১৯২৩), শ্মশানভষ্ম (১৯২৪), মহররম শরীফ (১৯৩৩)('মহররম শরীফ' কবির মহাকাব্যোচিত বিপুল আয়তনের একটি কাহিনী কাব্য), শ্মশান ভসন (১৯৩৮)
গোলাম মোস্তফা (১৮৫৭-১৯৬৪)
• তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে রক্তরাগ, হাসনাহেনা, বুলবুলিস্থান, বনি আদম, সাহারা।
• হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর জীবনী 'বিশ্বনবী' তার শ্রেষ্ঠ রচনা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ মে , ১৮৬১-৭ আগস্ট, ১৯৪১)
- ১৯০১ সালে বোলপুরের শান্তি নিকেতন 'ব্রহ্মচর্যাশ্রম' নামক বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠা করেন যা ১৯২১ সালে 'বিশ্বভারতী' বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়।
- ১৯১৩ সালের নবেম্বর মাসে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। একই বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।
- ১৯১৫ সালে তদানীন্ত ভারত সরকার তাকে 'স্যার বা নাইট' উপাধি প্রদান করে। ১৯১৯ সালে তিনি নাইট উপাধি ত্যাগ করেন।
- ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৯৪০ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।
- রবীন্দ্রনাথ মোট (১২ + ১ টি অসমাপ্ত) টি উপন্যাস রচনা করেন উপন্যাস গুলো হলো- করুণা (অসমাপ্ত), বেৌ ঠাকুরাণীর হাট (প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস), রাজর্ষি, শেষের কবিতা, ঘরে বাইরে, চার অধ্যায়, গোরা, চোখের বালি (বাংলা সাহিত্যে প্রথম মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস), নেৌকাডুবি, যোগাযোগ, মালঞ্চ, দুইবোন, চতুরঙ্গ।
- তার উল্লেখযোগ্য নাটক রুদ্রচন্ড, বাল্মীকি প্রতিভা (প্রথম প্রকাশিত নাটক), বসন্ত (নাটকটি তিনি নজরুলকে উৎসর্গ করেন), কালের যাত্রা, তাসের দেশ, শ্যামা, ডাকঘর, বিসর্জন, রাজ এবং রানী, রাজা, চিত্রাঙ্গদা, অচলায়তন, তাপসী, মুক্ত ধারা, অরুপরতন, নটির পূজা, রক্তকরবী, মালিনী।
- তার উল্লেখযোগ্য ছোট গল্প হচ্ছে ভিখারিণী (প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প), সমাপ্তি, ক্ষুদিত পাষাণ, মনিহার, অতিথি।
- রবীন্দ্রনাথের মোট কাব্যগ্রন্থ ৫৬ টি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কবি-কাহিনী (প্রথম কাব্যগ্রন্থ), বনফুল, বলাকা, নবজাতক, শেষলেখা।
- হিন্দু মেলার উপহার রবীন্দ্রনাথের প্রথম কবিতা।
- রবীন্দ্রনাথের উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ হচেছ ভ্রমণকাহিনী, য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র, জাভা যাত্রীর পত্র, জাপান যাত্রী, রাশিয়ার চিঠি, বাংলা ভাষার পরিচয়, শব্দতত্ত্ব, সভ্যতার সংকট, কালান্তর, স্বদেশ।
- রবীন্দ্রনাথের আত্নজীবনী হলো আমার ছেলে বেলা, জীবনস্মৃতি।
- তিনি বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক।
- তার উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ হচ্ছে চার ইয়ারী কথা।
- তার উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ হচ্ছে বীরবলের হালখাতা (বাংলা সাহিত্যে চলিত রীতিতে লেখা প্রথম গ্রন্থ)। এটি সবুজপত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
- তিনি বাংলা সাহিত্যে 'অপরাজেয় কথাশিল্পী নামে পরিচিত। তিনি ১৯২৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে 'জগত্তারিণী' পদক এবং ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডি.লিট উপাধি লাভ করেন।
- তিনি বাংলা সাহিত্যে উপন্যাস রচনার জন্য বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হচ্ছে বড়দিদি (এটি তার প্রথম উপন্যাস), শ্রীকান্ত (৪ খন্ডে রচিত এটি তার শ্রেষ্ঠ রচনা), পথের দাবী, গৃহদাহ, দেবদাস, শুভদা, চরিত্রহীন, দত্তা।
- তার রচিত নাটক হচ্ছে ষোড়শী, বিজয়া, রমা।
- তিনি 'নারীর মূল্য' নামে একটি প্রবন্ধ রচনা করেন।
- কুন্তলীন পুরস্কার প্রাপ্ত ছোট গল্প 'মন্দির' তার প্রথম রচনা।
বিলাসীর মেজদিদি বিন্দুর দুই ছেলে মহেশ ও পরেশ আর এক মেয়ে সতী মন্দিরের জমি নিয়ে মামলার ফলে তারা আজ কপর্দকশুন্য।
শরত্চন্দ্রের উপন্যাস মনে রাখার কৌশলঃ
অরক্ষণীয় গৃহের ছবি দেখে কাশীনাথ শ্রীকান্তকে বললেন, "চরিত্রহীন দেবদাস পশুর সমান "।
চ- চরিত্রহীন, দেব- দেবদাস, দেনা পাওনা।, দাস- বিপ্রদাশ।, প-পরিণীতা।, শু-পণ্ডিতমশাই।, র-পথের দাবি।, স-পল্লী সমাজ।, মা-রামের সুমতি।, ন-চন্দ্রনাথ।
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী (১৮৮০-১৯৩১)
- রায়নন্দিনী, তারাবাঈ তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস।
- তিনি অনল প্রবাহ নামক একটি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন যা ইংরেজ সরকার বাজেয়াপ্ত করে।
- তার রচিত মহাকাব্য হচ্ছে স্পেন বিজয়কাব্য।
- তুরস্ক ভ্রমণ তার রচিত প্রবন্ধ।
- তিনি ছিলেন মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেন মুসলিম মহিলা সমিতি।
- তার রচিত উপন্যাস হচ্ছে অবরোধবাসিনী (লেখিকার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ ; ১৯২৮), পদ্মরাগ, সুলতানার স্বপ্ন, ডিলিসিয়া হত্যা।
- তার রচিত প্রবন্ধ হচ্ছে মতিচুর (লেখিকার প্রথম গ্রন্থ)।
- বেগম রোকেয়ার স্বামীর নাম = সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন।
- বেগম রোকেয়ার লেখা প্রকাশিত হতো = মিসেস আর.এস.হোসেন নামে।
- তাঁর অসাধারণ কীর্তি = মুসলমান মেয়েদের জন্য "সাখাওয়াত মেমোরিয়াল হাই স্কুল" প্রতিষ্ঠা।
- তাঁর রচিত ইংরেজি গ্রন্থের নাম = Sultanas Dream
- বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের প্রথম গ্রন্থের নাম = মতিচুর (১ম খণ্ড ১৯০৪ সালে এবং ২য় খণ্ড ১৯২২ সালে প্রকাশিত)।
- বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম = ১৮৮০ সালের ৯ই ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার পায়রাবন্দ গ্রামে।
- তিনি ১৯৬০ সালে বাংলা একাডেমিতে যোগদান করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি বাংলা পন্জিকা সংস্কার করেন।
- তার গবেষণামূলক গ্রন্থ হচ্ছে বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত, বাংলা সাহিত্যের কথা, ভাষা 3 সাহিত্য, বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান।
- লেখকের অনুবাদগ্রন্থ হচ্ছে রুবাইয়াত ই 3মর খ্যায়াম।
- ঐতিহাসিক উপন্যাস 'গ্রানাডার শেষ বীর' তার শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।
- তার রচিত প্রবন্ধ হচ্ছে ভবিষ্যতের বাঙালী, জীবনের শিল্প।
- আনোয়ার পাশা, কামাল পাশা, কাফেলা তার রচিত নাটক।
- 'ইস্তাম্বুলের যাত্রীর পত্র' তার ভ্রমণকাহিনী।
- তার গল্পগ্রন্থ হচ্ছে সোনার শিকল।
- উপন্যাসিক হিসেবেই তিনি সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেছেন। তার রচিত উপন্যাসগুলো হচ্ছে পথের পাচালী, আরণ্যক, অপরাজিত, অশনি সংকেত, অভিযাত্রিক।
- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেনত ১২ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৪ সালে, মাতুলালয়, মুরারিপুর গ্রাম, চবিবশ পরগনা।
- তিনি মূলত ছিলেনত ঔপন্যাসিক।
- শরৎচন্দ্র পরবর্তী বাংলা ঔপন্যাসিকদের মধ্যে জনপ্রিয় কে ছিলেনত বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত প্রথম উপন্যাস হচ্ছেতপথের পাঁচালী (১৯২৯)।
- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত উপন্যাসগুলোর নামত পথের পাঁচালী (১৯২৯), অপরাজিত (১৯৩১), দৃষ্টি প্রদীপ (১৯৩৫), আরণ্যক (১৯৩৮), আদর্শ হিন্দু হোটেল (১৯৪০), দেবযান (১৯৪৪), ইছামতী (১৯৪৯), অশনি সংকেত (১৯৫৯) ইত্যাদি।
- পথের পাঁচালী উপন্যাস অবলম্বনে কে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেনতসত্যজিৎ রায়।
- পথের পাঁচালীর দ্বিতীয় খন্ড বলা হয় কোন উপন্যাসকে?তঅপরাজিত (১৯৩১)।
- এই উপন্যাসের প্রধান কয়েকটি চরিত্রের নাম লিখত অপু, দুর্গা, সর্বজয়া, হরিহর, অপর্ণা।
- ঋত্বিক ঘটক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোন উপন্যাস নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি করেনত অশনি সংকেত।
- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ছোটগল্পগ্রন্থগুলোর নামত মেঘমল্লার (১৯৩১), মৌরীফুল (১৯৩২), যাত্রাবদল (১৯৩৪), কিন্নরদল (১৯৩৮)।
- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের নামত তৃণাঙ্কুর (১৯৪৩)।
- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত পথের পাঁচালী উপন্যাসটি কোন কোন ভাষায় অনূদিত হয়েছেত ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায়।
- তিনি কোন উপন্যাসের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেনত ইছামতী (১৯৪৯)।
- তাঁর কোন উপন্যাসে অরণ্যচারী মানুষের জীবন প্রাধান্য পেয়েছেত আরণ্যক (১৯৩৮)।
- বিভূতিভূষনের উপন্যাসে কী গুরুত্বের সঙ্গে এসেছে?ত প্রকৃতি ও দরিদ্র মানুষের জীবন।
- তিনি কত তারিখে মৃত্যুবরণ করেনত ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৫০ সালে।
- তার রচিত উপন্যাস হচ্ছে আবে হায়াত, জীবনক্ষুধা, সত্যমিথ্যা।
- তার রচিত রম্যরচনা (গল্প) হচ্ছে আয়না, ফুড কনফারেন্স, আসমানী পর্দা, গ্যালিভারের সফরনামা।
- তার রচিত প্রবন্ধ হচ্ছে আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর (আত্নজীবনী), পাক বাংলার কালচার।
- রুপসী বাংলার কবি, নির্জনতার কবি, তিমির হননের কবি, ধূসরতার কবি এবং তিরিশের দশকের তথাকথিত জনবিচ্ছিন্ন কবি প্রভৃতি নামে তিনি পরিচিত।
- তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে ঝরা পালক (তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ), ধূসর পান্ডুলিপি, সাত তারার তিমির, বেলা অবেলা কালবেলা, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী।
- মাল্যবান, সতীর্থ তার রচিত উপন্যাস।
- তার উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ হচ্ছে কবিতার কথা, কেন লিখি।
- জন্ম: ২৫শে মে ১৮৯৯ ( ১১ ই জৈষ্ঠ ১৩০৬ বাংলা)
- জন্মস্থান: পশ্চিম বাংলার আসানসোল মহকুমার চুরূলিয়া গ্রামে।
- নজরুল বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি নামে পরিচিত
- কাজী নজরুল বাংলাদেশের রণসঙ্গীতের রচয়িতা। রণসঙ্গীত হিসাবে মূল কবিতাটির ২১ চরণ গৃহীত।
- ভারত থেকে স্হায়ীভাবে বাংলাদেশে আনা হয় ২৪শে মে ১৯৭২
- বিদ্রোহী প্রকাশিত হয় ১৯২১ সালে বিজলী পত্রিকায়
- অগ্নিবীনা প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালে
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান ১৯৭৪
- কাজী নজরুলের প্রথম: উপন্যাস: বাধন হারা, কবিতা: মুক্তি, কাব্য: অগ্নিবীণা, ছোট গল্প: হেনা,
- নাটক: ঝিলিমিলি, প্রবন্ধ গ্রন্থ: যুগবাণী(1921), প্রবন্ধ: তুর্কি মহিলার ঘোমটা খোলা
- প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম: ব্যথার দান (প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ১৯২২)।
- প্রথম প্রকাশিত রচনার নাম: বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী (প্রকাশ: জ্যৈষ্ঠ ১৩২৬; সওগাত)।
- প্রথম প্রকাশিত গল্পের নাম: বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী (প্রকাশ: জ্যৈষ্ঠ ১৩২৬)।
- প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থের নাম: ব্যথার দান (প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ১৯২২)।
- প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের নাম: অগ্নি-বীণা (সেপ্টেম্বর, ১৯২২)।
- প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসের নাম: বাঁধনহারা (১৯২৭)।
- প্রথম বাজেয়াপ্ত গ্রন্থের নাম: বিষের বাঁশী (প্রকাশ: আগষ্ট ১৯২৪/বাজেয়াপ্ত: ২৪ অক্টোবর ১৯২৪)।
- মোট ৫টি গ্রন্থ বাজেয়াপ্ত হয়: বিশের বাঁশী, ভাঙার গান, প্রলয় শিখা, চন্দ্রবিন্দু, যুগবাণী।
- নজরুল রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে অগ্নি-বীণা(১৯২২)(কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ), বিষের বাঁশি (১৯২৪), ভাঙার গান (১৯২৪), সাম্যবাদী (১৯২৫), সর্বহারা (১৯২৬), ফণি-মনসা (১৯২৭), জিঞ্জির (১৯২৮), সন্ধ্যা (১৯২৯), প্রলয় শিখা (১৯৩০), সঞ্চিতা, মরুভাস্কর, চিত্তনামা, ছায়ানট, দোলন চাপা, চক্রবাক, সিন্ধু হিন্দোল, ঝিঙে ফুল
- উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ হচ্ছে ব্যথার দান (প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ), রিক্তের বেদন, শিউলিমালা।
- তার রচিত উপন্যাস হচ্ছে বাধনহারা (প্রথম উপন্যাস), মৃত্যুক্ষুধা, কুহেলিকা।
- তার রচিত নাট্যগ্রন্থ হচ্ছে ঝিলিমিলি (প্রথম নাট্যগ্রন্থ), পুতুলের বিয়ে, আলেয়া, মধুমালা।
- লেখকের উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ হচ্ছে যুগবাণী (প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ), রাজবন্দীর জবানবন্দী, দুর্দিনের যাত্রী।
- কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকাঃ লাঙ্গল, ধূমকেতু, নবযুগ।
- নজরুলের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা: দশ বছর বয়সে গ্রামের মক্তব থেকে নিম্ন প্রাইমারী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (১৯০৯) হন্ এরপর ১৯১৪ সালের ত্রিশালের দরিরামপুর স্কুলে, ১৯১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের রানীগঞ্জ শিয়ারশোল রাজস্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকে ১৯১৭ সালে দশম শ্রেণী প্রি-টেস্ট পরীক্ষার সময় লেখাপড়া অসমাপ্ত রেখে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
- বার বছর বয়সে তিনি লেটোর দলে যোগ দেন এবং 'পালা গান' রচনা করেন।
- রবীন্দ্রনাথ তাঁর বসন্ত গীতিনাট্য নজরুলকে উৎসর্গ করেন।
- রক্তাম্বরধারিনী মা কবিতা রচনার জন্য কাজী নজরুল ইসলামের 'অগ্নিবীনা' কাব্য নিষিদ্ধ হয়?
- অগ্নি-বীণার প্রথম কবিতা প্রলয়োল্লাস।
- জীবনভিত্তিক কাব্যগুলো হলো: 'চিত্তনামা'(১৯২৫)[দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ] ও মরু-ভাস্কর (১৯৫০)[হযরত মুহাম্মদ (সঃ)]।
- বিখ্যাত গল্পগ্রন্থগুলোর নাম: ব্যথার দান (১৯২২), রিক্তের বেদন (১৯২৫), শিউলিমালা (১৯৩১)।
- সংগীত বিষয়ক গ্রন্থাবলীর নামগুলি হলো: চোখের চাতক, নজরুল গীতিকা, সুর সাকী, বনগীতি প্রভৃতি।
- তাঁকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারত সরকার কর্তৃক যথাক্রমে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক (১৯৪৫) ও পদ্মভূষণ (১৯৬০) পদক দেয়া হয়?
- বিবিসির বাংলা বিভাগ কর্তৃক জরিপকৃত (২০০৪) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় নজরুলের স্থান: তৃতীয়।
- বাল্যকাল তিনি দুখু মিয়া নামে পরিচিত ছিলেন।
- কাজী নজরুল ইসলামের লেখা নাটকগুলি হল: ঝিলমিলি, আলেয়া, পুতুলের বিয়ে
- কাজী নজরুল ইসলামের অনুবাদ গ্রন্থের নাম: রুবাইয়াৎ-ই-হাফিজ (১৯৩০) ও রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম (১৯৬০)।
- কাজী নজরুলের 'সাম্যবাদী' কবিতাটি প্রথম লাঙ্গল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
- নজরুল ইসলামের কবিতা সর্বপ্রথম বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য পত্রিকায় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
- তিনি মৃত্যুবরণ করেন : ২৯ আগষ্ট, ১৯৭৬; ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ।
- কবির রচিত কাব্যগ্রন্থগুলো হচ্ছে রাখালী (কবির প্রথম গ্রন্থ), নকশী কাথার মাঠ (কবির শ্রেষ্ঠ রচনা), সোজন বাদিয়ার ঘাট, বালুচর, মাটির কান্না, রূপবতী, মা যে জননী কান্দে, ধানক্ষেত, সূচয়িনী।
- লেখকের নাটকগুলো হচ্ছে বেদের মেয়ে, পল্লীবধূ, মধুমালা, পদ্মপার, গ্রামের মায়া।
- বোবা কাহিনী জসিম উদ্দীন রচিত উপন্যাস।
- চলে মুসাফির, যে দেশে মানুষ বড়, হলদে পরীর দেশ লেখকের ভ্রমণকাহিনী মূলক গ্রন্থ।
সৈয়দ মুজতবা আলী (১৯০৪-১৯৭৪)
- তার রচিত উপন্যাস হচ্ছে অবিশ্বাস্য, শবনম। 'দেশে বিদেশে' তার বিখ্যাত ভ্রমনকাহিনী।
- তার উল্লেখযোগ্য রম্যগল্প হচ্ছে পঞ্চতন্ত্র, চাচা কাহিনী, ময়ূরকন্ঠী, টুনিমেম।
- রবীন্দ্রনাথের পর বুদ্ধদেব বসুকে 'সব্যসাচী লেখক' বলা হয়।
- তার রচিত কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে বন্দীর বন্দনা, কঙ্কাবতী।
- তার উল্লেখযোগ্য কাব্যনাট্য হচ্ছে তপস্বী 3 তরঙ্গিনী, কলকাতার ইলেকট্রা 3 সত্যসন্ধ।
- নির্জন স্বাক্ষর, জঙ্গম, তিথিডোর বুদ্ধদেব রচিত উপন্যাস।
- মার্কসবাদী উপন্যাসিক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তার রচিত উপন্যাস হচ্ছে জননী, পদ্মা নদীর মাঝি, নুতুল নাচের ইতিকথা, দিবারাত্রির কাব্য।
- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেনত ১৯ মে, ১৯০৮ সালে, ভারতের বিহারে।
- তিনি মূলত ছিলেনতকথাসাহিত্যিক।
- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত প্রথম গল্পের নাম এবং যে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ত অতসী মামী. বিচিত্রা পত্রিকা (পৌষ সংখ্যা-১৩৩৫)
- যৌনাকাঙ্খার সঙ্গে উদর পূর্তির সমস্যা ভিত্তিক তাঁর রচনার নামত পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬)।
- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত গল্পগুলোর নামত উপন্যাস : জননী (১৯৩৫) দিবারাত্রির কাব্য (১৯৩৫), পুতুলনাচের ইতিকথা (১৯৩৬), পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬), শহরতলী (১৯৪০), অহিংসা (১৯৪১), শহরবাসের ইতিকথা (১৯৪৬), সোনার চেয়ে দামী (১৯৫১), স্বাধীনতার স্বাদ (১৯৫১), আরোগ্য (১৯৫৩) ইত্যাদি। গল্পগ্রন্থ: অতসী মামী ও অন্যান্য গল্প (১৯৩৫), প্রাগৈতিহাসিক (১৯৩৭), মিহি ও মোটা কাহিনী (১৯৩৮), সরীসৃপ (১৯৩৯), বৌ (১৯৪৩), সমুদ্রের স্বাদ (১৯৪৩) ইত্যাদি।
- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসের নামত জননী (১৯৩৫)।
- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থের নামত অতসী মামী ও অন্যান্য গল্প (১৯৩৫)।
- শশী ও কুসুম কোন উপন্যাসের পাত্র-পাত্রীত পুতুলনাচের ইতিকথা।
- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে 'পদ্মানদীর মাঝি' চলচ্চিত্রটি কে পরিচালনা করেনত গৌতম ঘোষ।
- 'পদ্মা নদীর মাঝি' গ্রন্থের রচয়িতা কে? কোন জাতীয গ্রন্থ এবং কত সালে প্রকাশিতত মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, উপন্যাস ১৯৩৬ সালে প্রকাশিত।
- 'প্রাগৈতিহাসিক' এবং ফেরিওয়ালা' গল্পগ্রন্থ দুটির রচয়িতাত মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
- 'পুতুল নাচের ইতিকথা' এবং 'শহর বাসের ইতিকথা' উপন্যাস দুটির রচয়িতাত মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
- তিনি মৃত্যুবরণ করেনত৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৬; কলকাতা।
- তার রচিত কাব্য গ্রন্থ হচ্ছে সাঝের মায়া, মায়া কাজল, উদাত্ত পৃথিবী, অভিযাত্রিক।
- লেখিকার শিশুতোষ গ্রন্থ হচ্ছে ইতল বিতল, ন3ল কিশোরের দরবারে।
- কেয়ার কাটা (লেখিকার প্রথম গ্রন্থ) লেখিকার গল্পগ্রন্থ।
- লেখিকার আত্নজীবনী হচ্ছে একালে আমাদের কাল।
- তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে রাত্রিশেষ, ছায়া হরিণ, সারা দুপুর, আশায় বসতি, মেঘ বলে চৈত্রে যাব।
- তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হচ্ছে অরণ্যে নীলিমা, রানী খালের সাকো।
- শওকত ওসমান জন্মগ্রহণ করে১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি, ভারতের হুগলি।
- শওকত ওসমানের প্রকৃত নাম শেখ আজিজুর রহমান।
- তিনি মূলত পরিচিত কথাসাহিত্যিক।
- শওকত ওসমানের প্রকাশিত প্রধান গ্রন্থ
উপন্যাসঃ ক্রীতদাসের হাসি (১৯৬২), সমাগম (১৯৬৭), চৌরসন্ধি (১৯৬৮), রাজা উপাখ্যান (১৯৭০৯), জাহান্নাম হইতে বিদায় (১৯৭১), দুই সৈনিক (১৯৭৩), নেকড়ে অরণ্য (১৯৭৩), পতঙ্গ পিঞ্জুর (১৯৮৩), রাজসাক্ষী (১৯৮৫), জলাংগী (১৯৮৬), পুরাতন খঞ্জুর (১৯৮৭)।
গল্পঃপিঁজরাপোল (১৩৫৮), পুনা আপা ও অন্যান্য গল্প (১৩৫৯), প্রস্তর ফলক (১৯৬৪), উভশৃঙ্গ (১৩৭৫), ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী (১৯৯০) ইত্যাদি।
নাটকঃ আমলার মামলা (১৯৪৯), তস্কর ও লস্কর (১৯৫৩), বাগদাদের কবি (১৩৫৯), পূর্ণ স্বাধীনতা চূর্ণ স্বাধীনতা (১৯৯০)।
শিশুতোষঃ ওটেন সাহেবের বাংলো (১৯৪৪), তারা দুই জন (১৯৪৪), ক্ষুদে সোশালিস্ট (১৯৭৩)।
- শওকত ওসমানের ১৯৪৬ সালে দৈনিক আজাদের সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশিত হয় উপন্যাস 'বনি আদম'।
- গ্রন্থাকারে প্রকাশিত তাঁর প্রথম পুস্তক জননী (১৯৬১)।
- তিনি পুরস্কার লাভ করেন বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২), আদমজি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৬), একুশে পদক (১৯৮৩), ফিলিপস পুরস্কার (১৯১১)।
- কোন গ্রন্থ রচনার জন্য তাঁকে আদমজি পুরস্কার দেয়া হয় ক্রীতদাসের হাসি।
- কোন গ্রন্থের জন্য তিনি ফিলিপস পুরস্কার লাভ করেন ঈশ্বরে প্রতিদ্বন্দ্বী গল্পগ্রন্থের জন্য।
- শওকত ওসমানের কালোত্তীর্ণ উপন্যাস ক্রীতদাসের হাসি। প্রতীকশ্রয়ী উপন্যাস।
- শওকত ওসমানের প্রথম উপন্যাস বনি আদম (১৯৪৩)।
- জননী ও ক্রীতদাসের হাসির ইংরেজি অনুবাদ কোথা থেকে প্রকাশিত হয় ওমসান জামালকৃত জননী (ইংরেজিতেও একই নাম রাখা হয়েছে) অক্সফোর্ড (১৯৯৩) ও কবীর চৌধুরীকৃত এ শ্লেভ লাফস (১৯৭৬) দিল্লি থেকে প্রকাশিত হয়।
- 'টাইম মেশিন' শওকত ওসমানের কোন জাতীয় রচনা অনুবাদ গ্রন্থ।
- শওকত ওসমানের তিনটি গল্প গ্রন্থের নাম 'প্রস্তর ফলক', সাবেক কাহিনী এবং 'জুনু আপা ও অন্যান্য গল্প'।
- শওকত ওসমানের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের নাম করুন বনি আদম, জননী, ক্রীতদাসের হাসি ইত্যাদি।
- ক্রীতদাসের হাসি কোন জাতীয় রচনা প্রতীকধর্মী ঐতিহাসিক উপন্যাস। ১৯৬৬ সালে প্রকাশিত।
- 'আমলার মামলা' এবং 'করের মনি' কোন জাতীয় রচনা নাটক।
- 'ওয়েটন সাহেবের বাংলা' কোন জাতীয় রচনা কিশোর গ্রন্থ, শওকত ওসমান।
- তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৯৯৯ সালে।
- আবু নয়ীম মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী (জন্ম:২৭শে নভেম্বর, ১৯২৫ - মৃত্যু:১৪ই ডিসেম্বর, ১৯৭১) একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক, ভাষাবিজ্ঞানী এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী।
- তিনি তৎকালীন ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর পৈত্রিক নিবাস নোয়াখালী
জেলার চাটখিল থানাধীন গোপাইরবাগ গ্রামে।
১৯৫৪ সালের ১৫ই নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির অস্থায়ী প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। - মুনীর চৌধুরী ১৯৬৫ সালে কেন্দ্রীয় বাঙলা উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে বাংলা টাইপরাইটারের জন্য উন্নতমানের কী-বোর্ড উদ্ভাবন করেন, যার নাম মুনীর অপ্টিমা।
- মুনীর চৌধুরী ১৯৫৩ সালে কারাবন্দী অবস্থায় কবর নাটকটি রচনা করেন।
- মীর মানস (১৯৬৫) প্রবন্ধ সংকলনের জন্য দাউদ পুরস্কার এবং পাক-ভারত যুদ্ধ সম্পর্কে লেখা সাংবাদিকতাসুলভ রচনা-সংকলন রণাঙ্গন (১৯৬৬)-এর জন্য সিতারা-ই-ইমতিয়াজ উপাধি লাভ করেন।
- ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর মুনীর চৌধুরীকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীদের সহযোগী আল-বদর বাহিনী তাঁর বাবার বাড়ি থেকে অপহরণ করে ও সম্ভবত ঐদিনই তাঁকে হত্যা করে
- উল্লেখযোগ্য রচনাবলি:
- নাটক: রক্তাক্ত প্রান্তর (১৯৬২) [পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের কাহিনী এর মূল উপজীব্য। নাটকটির জন্য তিনি ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান।], চিঠি (১৯৬৬), কবর (১৯৬৬) {নাটকটির পটভূমি হলো ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন।}, দণ্ডকারণ্য (১৯৬৬), পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য (১৯৬৯)
- অনুবাদ নাটক: কেউ কিছু বলতে পারে না (১৯৬৯); জর্জ বার্নার্ড শ-র You never can tell-এর বাংলা অনুবাদ, রূপার কৌটা (১৯৬৯); জন গলজ্ওয়র্দি-র The Silver Box-এর বাংলা অনুবাদ, মুখরা রমণী বশীকরণ (১৯৭০); উইলিয়াম শেক্স্পিয়ারের Taming of the Shrew-এর বাংলা অনুবাদ
- প্রবন্ধ গ্রন্থ: ড্রাইডেন ও ডি.এল. রায় (১৯৬৩, পরে তুলনামূলক সমালোচনা গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত), মীর মানস (১৯৬৫), রণাঙ্গন (১৯৬৬)(সৈয়দ শামসুল হক ও রফিকুল ইসলামের সাথে একত্রে), তুলনামূলক সমালোচনা (১৯৬৯), বাংলা গদ্যরীতি (১৯৭০)
- অন্যান্য: An Illustrated Brochure on Bengali Typewriter (1965)
- ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমী থেকে আনিসুজ্জামানের সম্পাদনায় চার খণ্ডে মুনীর চৌধুরী রচনাবলী প্রকাশিত হয়। প্রথম খণ্ডে (১৯৮২) মৌলিক নাট্যকর্ম, দ্বিতীয় খণ্ডে (১৯৮৪) অনুবাদমূলক নাট্যকর্ম, তৃতীয় খণ্ডে (১৯৮৪) সমালোচনামূলক গ্রন্থাবলি এবং চতুর্থ খণ্ডে (১৯৮৬) ছোট-গল্প, প্রবন্ধ, পুস্তক সমালোচনা ও আত্মকথনমূলক রচনা প্রকাশিত হয়।
- পুরস্কার: বাংলা একাডেমী পুরস্কার (নাটক), ১৯৬২; দাউদ পুরস্কার (মীর মানস গ্রন্থের জন্য) ১৯৬৫, সিতারা-ই-ইমতিয়াজ (১৯৬৬)
শহীদুল্লাহ কায়সার ( ১৯২৭ -
- শহীদুল্লাহ কায়সার জন্মগ্রহণ করেন ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৭; ফেনীতে।
- তিনি মূলত পরিচিত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক।
- জহির রায়হানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সহোদর ভাই।
- কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদান করেন ১৯৫২।
- তিনি কোন পত্রিকায় যোগদানের মধ্যদিয়ে সাংবাদিকতার পেশা গ্রহণ করেন সাপ্তাহিক ইত্তেফাক।
- তিনি কোন শিরোনামে উপসম্পাদকীয় রচনা করেন রাজনৈতিক পরিক্রমা, বিচিত্র কথা।
- তিনি কোন দুটি উপন্যাস লিখে খ্যাত সারেং বৌ (১৯৬২), সংশপ্তক (১৯৬২)।
- 'রাজবন্দীর রোজনামচা' নামক তাঁর স্মৃতিকথা কবে প্রকাশিত ১৯৬২ সালে।
- তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্তের নাম পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ (১৯৬৬)।
- তিনি পুরস্কার লাভ করেন আদমজি পুরস্কার (১৯৬২), বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২)।
- 'পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ' শহীদুল্লাহ কায়সারের কোন জাতীয় রচনা ভ্রমণ কাহিনী।
- 'রাজবন্দীর রোজনামচা' কে রচনা করেছেন এবং এটি কোন জাতীয় রচনা শহীদুল্লাহ কায়সার, কারা কাহিনী।
- 'সারেং বউ, এবং 'সংসপ্তক' কোন জাতীয় রচনা উপন্যাস।
- তিনি কত সালে কিভাবে মারা যান ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর এদেশীয় দোসর আলবদর বাহিনীর সদস্যগণ তাঁর ঢাকার কায়েতটুলির বাসভবন থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর তাঁর আর কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি।
- শামসুর রাহমান জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৯ সালের ২৪ অক্টোবর, বিক্রমপুরের পাড়াতলি গ্রামে।
- তিনি মূলত পরিচিত রোমান্টিক আধুনিক কবি।
- তার দুটি বিখ্যাত কবিতার নাম স্বাধীনতা তুমি, তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা।
- শামসুর রাহমানের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ কবিতাঃ মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাঁর ৬৫টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে (১৯৬০), রৌদ্র করোটিতে (১৯৬৩), বিধ্বস্ত নীলিমা (১৯৬৭), বন্দী শিবির থেকে (১৯৭২), এক ধরনের অহংকার (১৯৭৫), শূন্যতায় তুমি শোকসভা (১৯৭৭), এক ধরনের শোকসভা (১৯৭৭), বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে (১৯৭৭), উদ্ভট উটের পিঠে চলছে স্বদেশ (১৯৮২), যে অন্ধ সুন্দরী কাঁদে (১৯৮৪), অবিরল জলাভূমি (১৯৮৬), এক ফোঁটা কেমন অনল (১৯৮৬), বুক তাঁর বাংলাদেশের হৃদয় (১৯৮৮), হরিণের হাড় (১৯৯৩), উজাড় বাগানে (১৯৯৫), সৌন্দর্য আমার ঘরে (১৯৯৮), স্বপ্নে ও দুঃস্বপ্নে বেঁচে আছি (১৯৯৯), শুনি হৃদয়ের ধ্বনি (২০০০), ভষ্মস্তূপে গোলাপের হাসি (২০০২), ভাঙাচোরা চাঁদ মুখ কালো করে ধুঁকছে (২০০৩), কৃষ্ণপক্ষে পূর্ণিমার দিকে (২০০৪), গোরস্থানে কোকিলের করুণ আহবান (২০০৫), অন্ধকার থেকে আলোয় (২০০৬), না বাস্তব না দুঃস্বপ্ন (২০০৬),
- উপন্যাসঃ মোট ৪টি উপন্যাস লিখেছেন: অক্টোপাস (১৯৮৩), অদ্ভুত আঁধার এক (১৯৮৫), নিয়ত মন্তাজ (১৯৮৫), এলো সে অবেলায় (১৯৯৪।
- প্রবন্ধঃ আমৃত্যু তাঁর জীবনানন্দ (১৯৮৬), কবিতা এক ধরনের আশ্রয় (২০০২)। আত্মস্মৃতিঃ স্মৃতির শহর (১৯৭৯), কালের ধুলোয় লেখা (২০০৪)।
- শামসুর রাহমানের একটি শিশু সাহিত্যের নাম ধান ভানলে কুঁড়ো দেব।
- কত সালে শামসুর রাহমান আদমজী পুরস্কার এবং জীবনানন্দ দাশ পুরস্কার লাভ যথাক্রমে ১৯৬৩ সালে এবং ১৯৭৩ সালে।
- শামসুর রাহমানের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের নাম বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে, উদ্ভূট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ, বিধ্বস্ত নীলিমা, ফিরিয়ে দাও ঘাতক কাঁটা, মাতাল ঋত্বিক ইত্যাদি।
- 'স্বাধীনতা তুমি' কবিতাটি শামসুর রাহমানের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
- 'বন্দী শিবির থেকে' কোন জাতীয় গ্রন্থ রচনা করেছেন আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ।
- শামসুর রাহমান কত সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং মিতশুবিসি (জাপান) পুরস্কার লাভ করে যথাক্রমে ১৯৬৯ এবং ১৯৮২ সালে।
- শামসুর রাহমানের আত্মজীবীমূলক গদ্য রচনা স্মৃতির শহর।
- শামসুর রাহমানের তিনটি কাব্যগ্রন্থের নাম বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে, মাতাল ঋত্বিক, ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা।
- শামসুর রাহমানের অনুবাদ গ্রন্থ ফ্রস্টারের কবিতা।
- তিনি পুরস্কার লাভ করেনআদমজি পুরস্কার (১৯৬৩), বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৯), একুশে পদক (১৯৭৭), স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯১)।
- শামসুর রাহমান মৃত্যুবরণ করেনত ২০০৬ সালের ১৭ইং আগস্ট সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
- আলাউদ্দিন আল আজাদ জন্মগ্রহণ করেন-১৯৩২ সালের ৬ মে, নরসিংদী জেলার রামনগর গ্রামে।
- আলাউদ্দিন আল আজাদের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম ও ধরন হচ্ছে- জেগে আছি (১৯৫০), গল্পগ্রন্থ।
- আলাউদ্দিন আল আজাদের উল্লেখযোগ্য গল্পসমূহের নাম-
- কাব্যগ্রন্থ : মানচিত্র (১৯৫০), ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ (১৯৬২),
- গল্পগ্রন্থ: জেগে আছি (১৯৫০), ধানকন্যা (১৯৫১), মৃগনাভি (১৯৫৩), শীতের শেষ রাত বসন্তের প্রথম দিন (১৯৬২), কর্ণফুলি (১৯৬২), ক্ষুধা ও আশা (১৯৬৪), বিশৃঙ্খলা (১৯৯৭) ইত্যাদি।
- যে কবিতাটি লিখার জন্য তিনি জনপ্রিয়, তার নাম-স্মৃতিস্তম্ভ।
- 'স্মৃতিস্তম্ভ' কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভূক্ত- মানচিত্র।
- আলাউদ্দিন আল আজাদের কোন উপন্যাসটি 'বসুন্ধরা' নামে চলচ্চিত্রায়িত হয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে- তেইশ নম্বর তৈলচিত্র। ১৯৭৭ সালে পুরস্কার পায়।
- আলাউদ্দিন আল আজাদ রচিত বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ছোটগল্প হচ্ছে- ছাতা।
- আলাউদ্দিন আল আজাদের প্রথম প্রকাশিত কাব্য -মানচিত্র (১৯৬১)।
- আলাউদ্দিন আল আজাদের প্রথম প্রকাশিত নাটক-মরক্কোর জাদুকর (১৯৫৮)।
- 'শীতের শেষ রাত বসন্তের প্রথম দিন' গ্রন্থটি কে রচনা করেছেন? কোন জাতীয গ্রন্থ?- আলাউদ্দিন আল আজাদ, উপন্যাস।
- 'সাহিত্যের আগন্তুক ঋতু' কোন জাতীয গ্রন্থ রচনা করেছেন- প্রবন্ধ গ্রন্থ, আলাউদ্দিন আল আজাদ।
- মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত আলাউদ্দিন আল আজাদের গ্রন্থের নাম- ফেরারী ডায়েরী।
- শিল্পীর সাধনা এবং 'লেলিহান পান্ডুলিপি' আলাউদ্দিন আল আজাদের কোন জাতীয রচনা- 'শিল্পীর সাধনা' এবং লেলিহান পান্ডুলিপি : কাব্যগ্রন্থ।
- আলাউদ্দিন আল আজাদের দুটি উল্লেখযোগ্য নাটকের নাম - মায়াবী প্রহর এবং ইহুদীর মেয়ে।
- 'তেইশ নম্বর তৈলচিত্র' এর রচয়িতা কে এবং এটি কোন জাতীয় গ্রন্থ- আলাউদ্দিন আল আজাদ, উপন্যাস।
- উপজাতীয়দের জীবন চরিত্র নিয়ে রচিত আলাউদ্দিন আল আজাদের গ্রন্থটির নামত এটি কোন জাতীয় গ্রন্থ- কর্ণফুলী, উপন্যাস।
- আলাউদ্দিন আল আজাদ যে পুরস্কার লাভ করেন- বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৪), ইউনোস্কো পুরস্কার (১৯৬৫), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৭৭)।
- জহির রায়হান কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন- ১৯ আগষ্ট, ১৯৩৫ সালে, ফেনীতে।
- জহির রায়হান মূলত কী- কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিচালক
- তিনি কোন আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন- ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে।
- তিনি কখন চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন- ১৯৫৬-র শেষের দিকে।
- জহির রায়হানের প্রথম পরিচালিত ছবি-কখনো আসেনি (১৯৬১)।
- জহির রায়হানের পরিচালিত অন্য ছবিগুলো-সোনার কাজল (১৯৬২), কাঁচের দেয়াল (১৯৬৩), বাহানা (১৯৬৫), বেহুলা (১৯৬৬), আনোয়ারা (১৯৬৭), সঙ্গম (১৯৬৪), জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০) ইত্যাদি।
- তিনি বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার যে প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছেন তার নাম-Stop Genocide.
- তিনি তৎকালীন সমগ্র পাকিস্তানে প্রথম কোন রঙিন ছবি সৃষ্টি করেন- সঙ্গম (টেকনিকালার)।
- জহির রায়হানের সৃষ্ট প্রথম সিনেমাস্কোপ ছবি- বাহানা।
- জহির রায়হানের কোন ছবিটি শ্রেষ্ঠ বাংলা ছবি হিসেবে নিগার পুরস্কার লাভ করে- কাঁচের দেয়াল।
- জহির রায়হানের কোন গল্পটি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত করা হয়- একুশের গল্প।
- জহির রায়হানের আসল নাম- মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।
- জহির রায়হানের প্রথম গল্প-সূর্য গ্রহণ (১৯৫৫)।
- জহির রায়হানের রচিত উপন্যাসগুলোর নাম- হাজার বছর ধরে (১৩৭১), আরেক ফাল্গুন (১৩৭৫), বরফ গলা নদী (১৩৭৬), আর কত দিন (১৩৭৭), শেষ বিকেলের মেয়ে (১৩৬৭), আর কত দিন (১৩৭৭), কয়েকটি মৃত্যু (১৩৮২) ও তৃষ্ণা (১৩৬২)।
- তাঁর রচিত সুপরিচিত গল্পগ্রন্থটির নাম- সূর্যগ্রহণ (১৩৬২)।
- তিনি আদমজি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন- হাজার বছর ধরে উপন্যাস রচনার জন্য (১৯৬৪)।
- তিনি বাংলা একাডেমী থেকে কী পুরস্কার লাভ করেন- উপন্যাসের জন্যে মরণোত্তর সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭২)।
- ভাষা আন্দোলনের উপর রচিত জহির রায়হানের গ্রন্থটির নাম- আরেক ফাল্গুন।
- 'সূর্যগ্রহণ' গল্পটি কে রচনা করেন- জহির রায়হান।
- 'স্টপ জেনোসাইড' এবং 'জীবন থেকে নেয়া' চলচ্চিত্র দুটোর নির্মাতা হচ্ছে- জহির রায়হান।
- তিনি মৃত্যুবরণ করেন- ১৯৭২ এর ৩০ জানুয়ারি মিরপুরে নিখোঁজ হন।
- বাংলাদেশের কথা সাহিত্যকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পথিকৃৎ = সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ।
- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর কর্মজীবন শুরু হয় = কলকাতায় সাংবাদিক হিসেবে।
- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর উপন্যাসঃ লালসালু, চাঁদের অমাবস্যা (১৯৬৪), কাঁদো নদী কাঁদো (১৯৬৮)।
- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর গল্পগ্রন্থঃ নয়নচারা (১৯৫১), দুই তীর (১৯৬৫), গল্পসমগ্র (১৯৭২)।
- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর নাটকঃ বহিপীর (১৯৬০), সুরঙ্গ (১৯৬৪), তরঙ্গভঙ্গ (১৯৬৬)।
- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ মৃত্যুবরণ করেন = ১৯৭১ সালের ১০ই অক্টোবর প্যারিসে।
- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ আদমজী পুরষ্কার পান = "দুই তীর ও অন্যান্য গল্প" রচনা করার জন্য (১৯৬৫ সালে)।
- তাঁর প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ = "নয়নচারা" (১৯৫১)।
- তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস = লালসালু (১৯৪৮)।
- "লালসালু" উপন্যাসটি অনূদিত হয় = ২ টি ভাষায় (ইংরেজি ও ফারসি)।
- "লালসালু" উপন্যাসটির ইংরেজি অনুবাদকৃত গ্রন্থের নাম = Tree Without Roots (১৯৬৭)।
- "লালসালু" উপন্যাস রচনা করে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন।
- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ বাংলা একাডেমী পুরষ্কার পান = ১৯৬১ সালে।
- আবুজাফর শামসুদ্দীন সাহিত্য সাধনায় ব্রতী ছিলেন = ৫০ বছর।
- "ভাওয়াল গড়ের উপাখ্যান" উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় = ১৯৬৩ সালে।
- তিঁনি বাংলা একাডেমী পুরষ্কার পান = ১৯৬৮ সালে।
- আবুজাফর শামসুদ্দীন মৃত্যুবরণ করেন = ২৪শে আগস্ট ১৯৮৮ সালে ঢাকায়।
- তাঁর পৈত্রিক নিবাস = কুতুবপুর গ্রাম, কেন্দুয়া থানা, নেত্রকোনা।
- হুমায়ূন আহমেদ মূলত পরিচিত = ঔপন্যাসিক হিসেবে।
- হুমায়ূন আহমেদের -১ম প্রকাশিত উপন্যাস - নন্দিত নরকে।
- তাঁর অপূর্ব সাহিত্যকর্ম = "শঙ্খনীল কারাগার"।
- তাঁর সৃষ্ট আশ্চর্য চরিত্র = "মিসির আলী"।
- মিসির আলীর আখ্যান নিয়ে লেখা গ্রন্থ = "মিসির আলী অমনিবাস"।
- তাঁর পরিচালিত "আগুনের পরশমণি" ছবিটি ৮ টি শাখায় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পেয়েছে।
- তিঁনি "একুশে পদক" পান = ১৯৯৪ সালে।
- হুমায়ূন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন
- হুমায়ূন আহমেদ আমেরিকার নর্থ ডাকোটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পলিমার কেমিস্ট্রি বিষয়ের উপর পি.এইচ.ডি.ডিগ্রী লাভ করেন।
- হুমায়ূন আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন = ১৯শে জুলাই ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বেলভিউ হাসপাতালে
সুন্দর পোস্ট।আরো পড়ুন
ReplyDeleteকারক ও বিভক্তি mcq উদাহরণ